স্টাফ রিপোর্টার : ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থপনা (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী বেহুন্দি ও অন্যান্য ক্ষতিকর অবৈধ জাল এবং নিষিদ্ধ চাই অপসারণ বিশেষ কম্বিং অপারেশন হিসেবে পৃথক অভিযানে ১ লাখ ২০ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্টজাল, ১১০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। আইন অমান্য করে বাজারে জাটকা বিক্রি করায় তিন মাছ ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন হাইমচর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল।
অর্থদন্ড প্রাপ্ত জেলেরা হলেন- মহজমপুর রহমান সাহেবের মসজিদের রাস্তার পাশে বাখরপুর গ্রামের বাসিন্দা মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ কোভিদ হোসেন, হাইমচর নতুন বাজারের চরভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর সরদার, জনতা বাজারের মধ্য চরভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মাছ ব্যবসায়ী মো. সেকান্তর হাওলাদার।
হাইমচর উপজেলা মৎস বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, আজ সন্ধ্যা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উপজেলায় জাটকা রক্ষা কার্যক্রম উপলক্ষে মোবাইল কোর্টের আওতায় উপজেলার জনতা বাজার, হাইমচর নতুন বাজার, রহমান সাহেবের মসজিদের পাশে উন্মুক্ত অবস্থায় জাটকা বিক্রি কালে তিনটি জায়গা থেকে মোট ১০০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। তিনজন মাছ বিক্রেতাকে মোট পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তিনটি এতিমখানায় মোট ১০০ কেজি জাটকা বিতরণ করা হয়।
এর আগে শনিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিশেষ কম্বিং অপারেশন উপলক্ষে মোবাইল কোর্টের আওতায় মেঘনা নদীর সাহেবগঞ্জ, বারতহবিল, চরভৈরবী ও হাইমচরঘা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১ লাখ ২০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ১০ কেজি ধাটকা জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত সর্বমোট ১১০ কেজি জাটকা স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ এবং জব্দকৃত কারেন্টজাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন হাইমচর জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মাহবুব রশীদ, কোস্টগার্ড ও থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
