স্টাফ রিপোর্টার : প্রচারণার প্রস্তুতির সময় নৌকা প্রতিক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসানের ঈগল প্রতিকের পিতার পথরোধ করে প্রচারণায় বাধা ও হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার দুপুরে ফরাজীকান্দি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, চাঁদপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী এম ইসফাক আহসানের পিতা ইঞ্জি এএসএম কামরুল আহসান ২৩ ডিসেম্বর শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের রামদাশপুর এলাকায় ঈগল প্রতিকের পক্ষে লিফলেট বিতরণ ও প্রচারণার উদ্যেশ্যে প্রস্তুতি নেওয়ার সময় নৌকার প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সমর্থক কাশেমের ছেলে নোমানের নেতৃত্বে ১৫/ ২০ জন নৌকার সমর্থক প্রচারণা না করার জন্য বাধা ও হুমকি দেন এবং সানাউল্লাহ সরকারকে ধরে টেনে হেছরে আনন্দ বাজারে নিয়ে যায় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসান ঈগল প্রতিকের পিতা ইঞ্জি এএসএম কামরুল আহসান স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার দুপুরে ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের আমাদের ইচ্ছা ছিল আনন্দ বাজারে গিয়ে ভোটের প্রচার করবো। কিন্তু মায়ার সমর্থকদেক হুমকি ও হামলার ভয়ে ওখান থেকে প্রচার না করেই চলে আসি। কিন্তু অতীব শংকার বিষয় যে, আমরা চলে আসার পর ১৫/২০ জন নৌকার কর্মী লাঠি সোটা নিয়ে আমার ভাগ্নি জামাই সানাউল্লাহ সরকার যার বাড়িতে গিয়েছিলাম তাকে ধরে বাজারে নিয়ে যায়। সেখানে একজন প্রায় ৬৫ বছরের লোককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, হুমকি ধমকি, ভয়ভীতি দেখিয়ে তার নিজের বাড়ি ছাড়া করে ও শাসানি দেয় যেন সে নির্বাচনের আগে নিজের বাড়িতে না আসে। এই যদি অবস্থা হয় তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রতিশ্রুতির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কি ভাবে সম্ভব৷ আমরা তো কোন প্রচারই করতে পারছি না।
আমরা কোন ক্যাম্প করতে পারছি না, পোস্টার ঝুলাতে পারছি না, মিছিল করতে পারছি না যেখানে সমগ্র এলাকায় নৌকার সবকিছুই আছে। ভোটাররা ও কর্মিরা সবাই শংকিত। তাদের একটাই কথা ভোট দিতে পারবে তো৷ আমাদের কথা আমাদেরকে শংকা বিহীন ও নিরাপদ প্রচারের ব্যবস্থা করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীরসহ নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।