
হাইমচর প্রতিনিধি:চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার দক্ষিণ আলগী ইউনিয়নের আমির খান জামে মসজিদ পূর্ণ নির্মাণের অর্থ আত্মসাৎ প্রতিবাদ করায় মসজিদ কমিটির সভাপতি বয়োবৃদ্ধ আলহাজ্ব বশির উল্লাহ ভুঁইয়ার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে।
এতে মসজিদ কমিটির সভাপতিসহ আর ৩ জন আহত হয়েছে। জানাযায মসজিদ কমিটির সভাপতি মাগরিবের ওযু করে মসজিদের দরজায় দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করা সময় এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় হাইমচর থানায় একটি নিয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, উপজেলার ৩ নং আলগী দক্ষিণ ইউনিয়নের দক্ষিণ আলগী গ্রামে মোঘল আমলে নির্মিত ঐতিহ্যবাহী আমির খান জামে মসজিদ তৈরি করা হয়। জরাজীর্ণ এই মসজিদের বিপুল অর্থও ব্যয়ে পূর্ণ নির্মাণ করেন। মসজিদটির পূর্ন নির্মানের জন্য সকল অর্থ কমিটির সেক্রেটারি মোঃ কামাল উদ্দিন খান, সহসেক্রেটারি মোবারক হোসেন ও ক্যাশিয়ার শাহ আলম পাটওয়ারী তত্ত্বাবধানে মসজিদটি পূর্ণ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। অভিযোগ রয়েছে মসজিদের নির্মাণে বিপুল সংখ্যক টাকা এই চক্রটি আত্মসাৎ করে বলে জানিয়েছে কমিটির সভাপতি বশির উল্যাহ ভূইয়া।
মুসল্লিদের দাবি প্রেক্ষিতে মসজিদ কমিটির সভাপতি ব্যয়ের হিসাব চাইলে তারা হিসাব দিতে গড়িমুচি করে। এক পর্যায়ে তারা হিসাব দিতে অস্বীকার করে এবং সভাপতি সহ প্রতিবাদী মুসুল্লিদের হুমকি দেয়। গত ৪ ডিসেম্বর সভাপতি পার্শ্ববর্তী মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়তে গেলে ওযু অবস্থায় মসজিদের দরজার সামনে সেক্রেটারি মোঃ কামালের নেতৃত্বে মোবারক, শাহ আলম, সোহেল, বাশার ও কাশেম সহ অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়।এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। চাচাকে বাঁচাতে আসলে ওমর ফারুক ও জাফরসহ আহত হয়।
মারাত্মক আহত বশির উল্লাহ ভূইয়া প্রথমে হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসলে চিকিৎসা করেন। তার অবস্থা আশঙ্কা দেখে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পেরন করেন। চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসকরা তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। মাথায় বুকে আঘাতপ্রাপ্ত ও ডান হাত ভেঙ্গে যায়।
আলহাজ্ব বশির উল্লাহ ভূইয়া ৮২ বছর বয়সে হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে। অপরদিকে সন্ত্রাসীরা তার ও তার ভাই-ভাতিজাদের হুমকি দিয়ে আসছে হামলাকারীরা প্রকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই নিয়ে বশির উল্লাহ ভূইয়ার পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মসজিদের মুসল্লী মোঃ বাবুল, আব্দুল সাত্তার, আব্বাস খলিফা জানান, কামাল হুজুর বিভিন্ন এতিমখানা মাদ্রাসা ও মসজিদের নামে জাকাতের টাকা এবং দান অনুদান এনে আত্মসাৎ করেন। এলাকায় নানা অপকর্ম করে বেড়ায়। সর্বশেষ সে মসজিদ নির্মাণের লাখ লাখ টাকা মেরে দেয়। মসজিদ কমিটির সহ সেক্রেটারি মোবারক ও ক্যশিয়ার শাহ আলম তাকে সহযোগিতা করেন। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানাই।