হাজীগঞ্জে গরুর মাংসের দাম কমানোর অন্তরালে প্রতারণায় ঠকসে ক্রেতারা

গাজী মহিন উদ্দিন: হাজীগঞ্জে গরুর মাংসের দাম কমায় নিন্ম ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছে। তবে দাম কমানোর অন্তরালে ব্যবসায়ীদের অভিনব প্রতারণা থেকে রেহায় পায়নি ক্রেতারা।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারে ৮০০ টাকায় বিক্রি হওয়া গরুর মাংস ৬৫০ টাকায় বিক্রয়ের কথা শুনে মাংসের দোকানে ভীড় জমায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবাদের মুখে পড়ে ৬৫০ টাকায় মাংস বিক্রির উদ্যোগ নেয় লিটন নামের এক ব্যবসায়ী।

মাইকিং করায় গত ২ ডিসেম্বর ব্যাপক সাড়া পড়ে। আল্লাহর দান মাংস বিতানে ১ ঘন্টায় সব মাংস বিক্রয় হয়ে যায়। পরদিন সকল মাংস ব্যবসায়ী মাংসের মূল্য কমিয়ে দেয়।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, হাজীগঞ্জ বাজারের হকাস মাকেট, তরকারি পট্টির মাংসের দোকানগুলোতে ৬৫০ টাকায় মাংস ক্রয় করতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।

১ কেজি মাংসের সাথে ৩০০ গ্রাম হাড়, ২০০ গ্রাম চর্বি, এবং মাথার অংশ মিশিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে আগের মূল্য কৌশলে আদায় করছে বিক্রেতারা। ওজনে কম দেওয়ার মত ঘটনা ঘটছে। সিন্ডিকটের কারণে প্রতিবাদ করতে গিয়ে উল্টো লাঞ্চিত হচ্ছে ক্রেতারা।

বড়কুল থেকে গরুর মাংস কিনতে আব্দুর রহিম বলেন, দাম কমানোর ঘোষণা এক ধরণের প্রতারণা। এক কেজি মাংসে আটা কেজিও টিকে না। হাড় এবং চর্বি পরিমানের চেয়ে বেশি নিতে বাধ্য করা হচ্ছে।

মাংস ব্যবসায়ী বলেন লিটন বলেন, মূল্য কমানোর কারণে আগের চেয়ে বেচা বিক্রি ভালো হচ্ছে। মাংসের সাথে ২০০ গ্রাম হাড় এবং ১০০ গ্রাম চর্বি সমন্বয় করে বিক্রয় করা হচ্ছে। এতে কোন প্রতারণা করা হয় না।
জেলা ভোক্তা অধিকার এর উপ-পরিচালক নূর হোসেন রুবেল বলেন, মাংসের সাথে হাড় এবং চর্বির পরিমান বেশি এ বিষয়ে একাধিক ভোক্তা আমাদের কাছে অভিযোগ করেছে। সহসায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।

সম্পর্কিত খবর