স্টাফ রিপোর্টার : হাজীগঞ্জের আলোচিত উত্তম কাজলী রাণী দম্পতি হত্যার ঘটনায় আদম ব্যবসায়ী হাসান মিয়াজীকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত।
২৭ অক্টোবর শনিবার এন্নাতলী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে জোড়া খুনের ঘটনায় পৃষ্পপোষকতা সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটক করার পরদিন ২৮ অক্টোবর শনিবার দুপুরে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ।
হাসান মিয়াজী উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড এন্নাতলী গ্রামের মিয়াজী বাড়ির মৃত মুখলেছুর রহমানের ছেলে।
তিনি ঢাকার কাকরাইলে রিক্রুুটিং এজেন্সি বাংলাদেশ এক্সপোর্ট কর্পোরেশন এর মালিক।
গত ৭ সেপ্টেম্বর হাজীগঞ্জের বড়কুল এলাকায় এক পৌঢ় দম্পতি উত্তম বর্মণ ও তার স্ত্রী কাজলী রানী বর্মণকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
ওই হত্যাকান্ডে সন্দেহের তালিকায় ছিলেন তিনি। হত্যাকান্ডের সপ্তাহ খানেক পর বিদেশে পাড়ি জমায়। দেশে ফিরে নিজ গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করলে সেখান থেকে পুলিশ আটক করে।
এ অভিযান পরিচালনা করে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুর রশিদ এবং এস.আই ইউনুস সঙ্গীয় ফোর্স।
হত্যা মামলার প্রধান আসামী সোহাগ এবং দলিল লেখক মাসুদের সাথে হাসান মিয়াজীর অনুগত হওয়ায় ঘটনার শুরু থেকে পুলিশ বিষয়টি নজরদারিতে রাখে।
পৌঢ় দম্পতির মেয়ে রিনা রানী বর্মণ একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ১৫দিনের মধ্যে হত্যার ঘটনার রহস্য উন্মোচন করে পুলিশ।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব-১০ এর একটি চৌকস টিম ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত প্রধান আসামী এন্নাতলি মুন্সি বাড়ির বিল্লাল হোসেনের ছেলে মোঃ সোহাগ (২৫) কে গ্রেফতার করেন।
হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি মো. সোহাগ হোসেন ও মিজান ওরফে গোলাম আযম, দলিল লেখক মাসুদ ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেনের ছেলে বাবুলসহ ১৩জনকে আটক করা হয়।
এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাশেদ (২৭), রাকিব (২৩), আলমাছ (৪৫), দিদার, মাসুদ, শ্যামল, হারেছ, আলামিন ও ফয়সাল কে আটক করে। এদের মধ্যে ২জন আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আসে। তারা উত্তর রায়চোঁ, দক্ষিণ রায়চোঁ, উত্তর বড়কুল ও টোরাগড় দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি সোহাগের ভাষ্যমতে জানা যায়, ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর বড়কুল চেয়ারম্যান মার্কেটের দোকানদার দিয়া ফার্মেসির মালিক পিন্টু সাহার দোকানের পেছনের কক্ষে মদ্যপান করে দলিল লেখক মাসুদ, সোহাগ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ বাবুল, মিজানুর রহমান ওরফে গোলাম আযমসহ সাঙ্গ-পাঙ্গরা ডাব খাওয়ার জন্য দুলালের বাড়িতে অবস্থান করে।
সেখানে উত্তম বর্মণ ও স্ত্রী কাজলী রাণী বর্মন দম্পতির ঘরে চুরির উদ্দেশ্যে প্রবেশ করে। তারা বৃদ্ধ স্বামী স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এসময় বিভিন্ন আসবাবপত্র নিয়ে যায়। ঐ চোরাইকৃত মালামাল ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে দেয়।