চাঁদপুরে বিজয় দশমীর মাধ্যমে দেবী দুর্গার বিসর্জন

সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী: চাঁদপুরে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব সম্পন্ন হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ধর্মীয় রীতি অনুযায়ি চোখের জলে মা দেবী দুর্গাকে শহরের চৌধুরী ঘাট ডাকাতিয়া নদীতে বিসর্জন দেন।

এর আগে ২০ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে হিন্দুদের ৫ দিনের দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী ও মহানবমীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ ধর্মীয় নানা আচার অনুষ্ঠান পালন করেন। বিজয়া দশমীর দিনে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে তারা এ আনুষ্ঠানিকতা শেষ করলেন।

বিকাল ৫ টা থেকে প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে চাঁদপুর শহরে একটি আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। শহরের বেশ কয়েকটি মণ্ডপের প্রতিমা বিকালের পর ট্রাক ও ভ্যান যোগে আনন্দ শোভা যাত্রা বের করে শহর প্রদক্ষিন করে সন্ধ্যায় চৌধুরী ঘাট এলাকা দিয়ে ডাকাতিয়া নদীতে দেবী দূর্গাকে এক বছরের জন্য বিসর্জনের মাধ্যমে বিদায় জানানো হয়।
বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তায় তারা ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ও নাচ-গান করে প্রতিমা বিসর্জন দেয়।

চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের হিসাব অনুযায়ি, এবার জেলায় সর্বমোট ২শ’ ২৪টি স্থায়ী ও অস্থায়ী মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, চাঁদপুর সদর সার্কেল ইয়াসির আরাফাত, চাঁদপুর পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্ৰ রায়, সাধারন সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ, যুগ্ম সম্পাদক গোপাল সাহা, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লক্ষণ চন্দ্র সূত্রধর,জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি পরেশ মালাকার, সাধারণ সম্পাদক কার্তিক সরকার, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নেপাল সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুমন সরকার জয়, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজন চন্দ্ৰ দে।

সম্পর্কিত খবর