চাঁদপুর খবর রির্পোট: চাঁদপুর সদর উপজেলায় ৬নং মৈশাদী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের হামানকর্দ্দি গ্রামের গাজী বাড়ি (করের বাড়ির) নিবাসী মমতাজ বেগমের ছেলেকে মারধরের ও হত্যার হুমকির ঘটনার ২৪দিন পর পুলিশের উর্ধ্বতন কমকতাদের নির্দেশে অবশেষে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় জিডি করা হয়েছে। যার জিডি নং-১৩৯৮, তারিখ: ২০/১০/২০২৩খ্রি. ।
মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের নিদেশ দিয়েছে মডেল থানার ওসি শেখ মুহসীন আলম । মামলাটি তদন্ত করছেন এসআই কুদ্দুস ।
গতকাল ২০অক্টোবর হামানকর্দ্দি গ্রামের গাজী বাড়ি (করের বাড়ি) নিবাসী মো: কামাল গাজী (৪৩), পিতা- মৃত সামাদ গাজী কে ১নং আসামী করে জিডি করেন বাদী মমতাজ বেগম।
এতে আরও আসামী করা হয় মো: হোসেন গাজী (৪৫), পিতা-মৃত সামাদ গাজী, ৩। মুন্নি আক্তার (২৭), পিতা- কামাল গাজী, সর্ব সাং- হামানকর্দি, ওয়ার্ড নং-০৯, ০৬নং মৈশাদী ইউনিয়ন; থানা ও জেলা- চাঁদপুর।
জিডিতে বাদী উল্লেখ করেন ১নং বিবাদীসহ অন্য বিবাদীরা আমাদের পাশাপাশি বাড়ীর বাসিন্দা। বিবাদীরা অত্যাচারী, উশৃঙ্খল, লাঠিয়াল, জুলুমবাজ, পরসম্পদ লোভী, এলাকার খারাপ প্রকৃতির লোক। বিবাদীদের সাথে জায়গা সম্পত্তির বিষয় নিয়া আমাদের পূর্বে থেকে বিরোধ চলছে।
উক্ত বিরোধের জের ধরে বিবাদীরা প্রতিনিয়ত কথায় কথায় লাঠিসোঠা নিয়া আমাদের মারধর করার জন্য আসে এবং বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে। ঘটনার তারিখ ও সময়ে ময়লা নিয়া এবং ৩নং বিবাদীর ছেলের গোসল করাকে কেন্দ্র করে বিবাদীরা আমার ছেলেকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে। বিবাদীরা আমার ছেলেকে এলোপাথাড়ী কিল, ঘুষি, লাথি মারিয়া তাহার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা থেতলানো জখম করে।
আমার ছেলের চিৎকার শুনে আমি ঘটনাস্থলে আসলে বিবাদীরা আমাকে ও এলোপাথাড়ী কিল, ঘুষি, লাথি মেরে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা থেতলানো জখম করে। আমার ও আমার ছেলের ডাক চিৎকারে অপরাপর সাক্ষীরা সহ আশপাশের লোকজন এসে বিবাদীদের কবল থেকে আমাদের কে রক্ষা করে। বিবাদীরা এ সময় বলে সুযোগ মত পাইলে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে প্রাণে হত্যা করে লাশ গুম করবে।
এ বিষয়ে গত ২৬সেপ্টেম্বর চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।