চাঁদপুর মডেল থানার এএসআই মিজানের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ

চাঁদপুর খবর রিপোর্ট ঃ চাঁদপুর সদর মডেল থানার এএসআই মিজানের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে ।একের পর এক অভিযোগ আসছে তার বিরুদ্ধে ।

গতকাল এএসআই মিজানের বিরুদ্ধে দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে একের পর এক অভিযোগ পত্রিকা অফিসে আসছে । অভিযোগ রয়েছে, থানার কোন দরখাস্ত ও কিংবা কোর্টের কোন কাগজ পেলেই বাদী কিংবা বিবাদীপক্ষ যেই হোক নানাভাবে নাজেহাল করে অর্থ আদায় করাই তার একমাত্র কাজ । কোন অভিযোগ কিংবা দরখাস্ত পেলেই এটি বানিজ্য হিসেবে নিয়ে থাকে । প্রতিটি দরখাস্ত পেলেই দুপক্ষকে থানায় ডেকে বিচারিক কাজ করে,বিচার করে । যা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে । আইনজীবিরা এটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করে আসছে । থানার ওসির অনুমতি (ডিজিমূলে প্রস্থান) ছাড়াই গোপনে সদরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালান । কিন্তু থানায় অবগত করেন নি ।

এএসআই মিজান সাধারণ মানুষের কাছে এক ধরনের আতংকের নাম হয়ে উঠেছে । পুলিশ জনগনের বন্ধু । কিন্তু এএসআই মিজানের কারণে চাঁদপুর মডেল থানার ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন হয়ে পড়ছে । সাধারণ মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে ।

এসব বিষয়ে চাঁদপুর জেলা পুলিশ ও মডেল থানা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট জানালেও এখনও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি । উল্টো তার বিরুদ্ধে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে সে হুকাংর করে বেড়াচ্ছে ।

জানা গেছে, এর আগে অভিযোগ উঠেছে , সদরের শাহতলী বাজারের রেল গেইট সংলগ্ন চায়ের দোকানদার আলমগীরকে নাজেহাল ও হয়রানির করছে । দিনে কয়েকবার দোকানে ঢুকেছে বিনা কারণে ।

অযথা নানা অমূলক প্রশ্ন করছে ,নানাভাবে নাজেহাল করেছে । সব কিছুর পিছনে রয়েছে হয়রানি করে টু-পাইছ কামানো । চায়ের দোকানদার আলমগীর গতকাল মোবাইলে (রের্কড আছে) দৈনিক চাঁদপুর খবরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ।

এ ছাড়াও এদিন সদরের হামানকদ্দী করের বাড়ী জনৈক মনির গাজী পিতা বাচ্চু গাজীকে কোন কারণ ছাড়াই নাজেহাল ও হয়রানি করেন । ওসি কিংবা র্উধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের অনুমতি ছাড়াই তিনি বিভিন্ন স্থানে দিনে-রাতে অভিযান চালায় । এমন অভিযোগও রয়েছে ।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার এএসআই মিজানের সাথে দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,আমি উভয় স্থানে গিয়েছি । তদন্ত করেছি । থানায় সমাধানের লক্ষে উভয়পক্ষকে ডাকছি । কাউকে হয়রানি করেনি ।

শাহতলী বাজারের আলমগীরের চায়ের দোকানে গিয়েছি । খোঁজখবর নিতে । তাকেও হয়রানির উদ্দেশ্য ছিলো না ।

এদিকে ঘটনার তদন্ত করে দ্রুত চাঁদপুর সদর মডেল থানার এএসআই মিজানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী করছে সাধারণ জনগন । বিষয়টি চাঁদপুরের পুলিশ সুপার ও চাঁদপুর মডেল থানার ওসির সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ।

সম্পর্কিত খবর