
গাজী মহিন উদ্দিন : চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পরকীয়ার জেরে স্বামীকে জবাই করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
৮ অক্টোবর রবিবার সন্ধ্যায় হাজীগঞ্জ বাজারের ট্রাক রোডে সহকারি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে রাস্তার পাশে সিঙ্গাপুর ভবনের ভাড়া বাসায় হত্যার ঘটনা ঘটে।
সৌদি প্রবাসী ইমরান বাশার কে জবাই করে হত্যা করে স্ত্রী ফারজানা আক্তার ও তার পরকীয়া প্রেমিক সৈয়দ আশিক এলাহী বাবু।
নিহত ইমরান বাসার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৩নং সুবিদপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর দালাল বাড়ীর প্রতিবন্ধী আবুল বাশারের ছেলে।
স্ত্রী ফারজানা আক্তার হাজীগঞ্জ উপজেলার ৭ং বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের জাকনী খান বাড়ির জসীম উদ্দীনের মেয়ে।
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় পরকীয়া প্রেমিক সৈয়দ আশিক এলাহী বাবুকে বাসায় ডেকে আনে ফারজানা ।
স্বামীর সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইফতারি ফারজানা ও পরকীয়া প্রেমিক সৈয়দ আশিক এলাহী বাবু মিলে ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করে। এবং এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। গলায় মারাত্মক জখম হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ এই ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সৌদি প্রবাসী ইমরান বাশার স্ত্রী ফারজানা আক্তারের পরকীয়ার বিষয়টি জানতে পেরে গত দুই মাস আগে দেশে আসে।
স্বামীর দেশে আসার সংবাদ পেয়ে ঐদিন পরকীয়া প্রেমিক শাহরাস্তি উপজেলার ওয়ারুক গ্রামের সৈয়দ আশিক এলাহী বাবুর হাত ধরে বেরিয়ে যায়। দুইদিন পর বাবার বাসায় ফিরে যায়।
গত একমাস পূর্বে পরকীয়া আসক্ত স্ত্রী ফারজানা আক্তার স্বামী ইমরান বাশার কে তালাক দেয়। এক সন্তানের কথা চিন্তা করে প্রবাসী ইমরান বাসার স্ত্রীকে মেনে নেয়।
গত ১৫ দিন আগে পারিবারিক সমঝোতায় গড়ে তুলে নেয় স্বামী।
স্বামী প্রবাসে থাকায় দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী ফারজানা আক্তার পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। প্রেমিক সৈয়দ আশিক এলাহী বাবুর হাতে স্বামীর রোজগার করা অর্থ তুলে দিতেন। এ নিয়ে স্বামী এমরান বাশার প্রতিবাদ করে। এ কারণে ই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে স্ত্রী পাওয়ার জন্য আক্তার ও তার প্রেমিক সৈয়দ আশিক এলাহী বাবু।
ইমরান বাশারের মৃতদেহ উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। হাসপাতাল থেকে স্ত্রী ফারজানা আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ।