
কচুয়া প্রতিনিধি : পল্লী বিদ্যুতের তীব্র লোডশেডিংয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কচুয়া উপজেলাবাসী। প্রতিদিনই বিদ্যুতের লুকোচুরিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জন-জীবন। প্রায় সারাদিনই থাকছে লোডশেডিং, তবে মারাত্মক পরিস্থিতি শুরু হয় সন্ধ্যার পর রাতভর থাকে লোডশেডিং। সব মিলে ফটিকছড়িতে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি চলছেই।
গ্রাহকরা জানান,অতিরিক্ত লোডশেডিং, টেকনিক্যাল সমস্যা, ওভার লোড ও লাইন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করাসহ নানা অজুহাত দেখিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ রাখছে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস। দিনরাত সমানতালে লোডশেডিং হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। ফ্রিজে থাকা খাদ্য সামগ্রীতে বিনষ্ঠ হচ্ছে। বিশেষ করে রাতে ভ্যপসা গরম ও মশার চরম উৎপাতে জীবন যাত্রা দুর্বিসহ হয়ে উঠে।
উপজেলার সাচার বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো.সালাউদ্দিন ভূইঁয়া ও সাধারন সম্পাদক মো.জাহাঙ্গীর হোসেন দেওয়ান বলেন, গত কয়েক মাস ধরে রাতে ঠিকমত ঘুমান পারছি না। ব্যবসীদের ব্যপক আকারে ক্ষতি হচ্ছে। রাতে অতিরিক্ত লোডশেডিং থাকায় বাজারে এখন বেড়েছে চুরি সংঘটিত ঘটনা। সন্ধ্যা রাতেও বিদ্যুৎ থাকে না, পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এ অবস্থায় সরকারের কাছে দাবি, জনগণের অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হোক।
লোডশেডিং সম্পর্কে জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুৎ কচুয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম মো.বেলায়েত হোসেন বলেন,কচুয়ায় গ্রাহক সংখ্যা ১ লক্ষ ৪৫ হাজার। প্রতিদিন ৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন।
এই উপজেলায় বিদ্যুতের ৩টি উপ-কেন্দ্র রয়েছে। কেন্দ্র ভিত্তিক বিদ্যৎ সরবরাহের পরিমান হচ্ছে কচুয়া সদর কেন্দ্রে ১৫ মেগাওয়াটের স্থলে ৭ থেকে ৮ মেগাওয়াট, রহিমানাগর উপ-কেন্দ্রে ৯ মেগাওয়াটের স্থলে সাড়ে ৩ থেকে ৪ মেগাওয়াট ও পালাখাল উপ-কেন্দ্রে ৯ মেগাওয়াটের স্থলে ৩ থেকে সাড়ে ৩ মেগাওয়াট। যেদিন বৃর্ষ্টি থাকে, সেদিন গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবারন করা হয়।