চাঁদপুর সদর হাসপাতালের ইমাজেন্সিতে রোগীদের সাথে অশোভন আচরণ!

চাঁদপুর খবর রিপোর্ট ঃ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও রোগীদের স্বজ্বনদের সাথে ইমাজেন্সিতে দায়িত্বরতদের অশোভন আচরন।

৩সেপ্টেম্বর (রবিবার) চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬নং মৈশাদী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মধ্য হামানকর্দ্দি গ্রামের বাংলাদেশ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর মো: জাহাঙ্গীর দর্জি চাঁদপুর সদর হাসপাতালের ইমাজেন্সিতে দায়িত্বরতদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন।

তিনি দৈনিক চাঁদপুরকে খবরকে জানান, আমি মোঃ জাহাঙ্গীর দর্জি। আমার বাড়ি চাঁদপুর সদর থানাধীন মৈশাদী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মধ্য হামানকর্দ্দি গ্রামে। আমি জিলানী চিশতী কলেজের সাবেক ছাত্র ছিলাম। আমি বর্তমানে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে চট্টগ্রাম জেলায় কর্মরত আছি।

তিনি জানান, গত ৩সেপ্টেম্বর আমি বাড়িতে ছিলাম। আমার মেজো ভাই এর একটি গরুর ফার্ম আছে। রাত অনুমান সাড়ে তিনটার দিকে গরুর ফার্মে আগুনের লাগায় আমি এবং আমার ভাই সহ আশেপাশের লোকজনসহ এসে আগুন নেভানোর জন্য চেষ্টা করে।

আমার ভাই তার গরু গুলোকে অক্ষত অবস্থায় বাহির করার জন্য গরু ঘরের ভিতরে প্রবেশ করলে তাহার শরীরের অর্থাৎ পিঠের ৫০শতাংশ চামড়া পুড়ে যায় ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। আমি আমার ভাইকে সিএনজি যোগে চাঁদপুর সদর হাসপাতাল রাত সাড়ে ৪টার ইমারজেন্সি তে নিয়ে যাই। ইমারজেন্সিতে ঘুমন্ত অবস্থায় বয়স্ক (মিডিয়াম সাস্থ্য, শ্যামলা, মুখে দাড়ি, বয়স-৫৫/৫৬ হবে) একজন লোক ছিল তাকে অনেক ডাকাডাকি করে ঘুম থেকে উঠাই। পরে আরো তিনজন অ্যাটেনডেন্স আসে তাহারা আমার ভাইয়ের প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট এর মাঝামাঝি বলে এত রাত আমরা ৩-৪ জন আমাদের দিকে খেয়াল রখবেন।

তিনি আরো জানান, আমি তাদের বলছি ইমারজেন্সিতে এটা আপনাদের দায়িত্ব। তারপর আমি ডাক্তারকে খোঁজ করে ডাকলে তিনি ভিতরের রুম হতে আসেন আমার ভাইকে দেখে আবার ভেতরে রুমে চলে যান। আমি আনুষঙ্গিক প্রাথমিক ট্রিটমেন্টের জিনিসপত্র ইমারজেন্সি বয়দের দেখানো হাসপাতালে ভিতরে ফার্মেসি হতে ক্রয় করে এনে দিলে তারা প্রাথমিক ট্রিটমেন্টের কাজ করে।

এর মাঝে আবার ইমারজেন্সিতে বসা বয়স্ক লোকটি আমাকে বলে আমরা চারজন আমাদের দিকে খেয়াল রাখবেন। এটা সদর হাসপাতাল ইমারজেন্সিতে চিকিৎসা দেওয়া আপনাদের দায়িত্ব। একপর্যায়ে বয়স্ক লোকটি আমার সাথে উচ্চস্বরে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। আমাকে বলে পুলিশ হয়েছেন তাতে কি হয়েছে আমার ছেলে ও পুলিশের এএসপি। আমি বলছি আমার রোগীর চিকিৎসা আগে শেষ করেন আমি তো এখনো যাইনি। আমি আসার সময় তাদেরকে ২শ টাকার নাস্তা করার জন্য দিতে চেয়েছি, কিন্তু তাদের চাহিদা আরো বেশি থাকায় নিতে বাহানা শুরু করে। আমি শেষে বয়স্ক লোকটাকে ২শ টাকা দিয়ে চলে আসি। এভাবেই চাঁদপুর সদর হাসপাতালে রোগীদের সর্বশান্ত করে।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর সদ;র হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বশীল কারই বক্তব্য পাওয়া যায়নি ।

সম্পর্কিত খবর