
স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদগঞ্জ উপজেলার ২ নং বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের দেইচর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ৩১ আগষ্ট বিকালে আবুল কালাম পাটোয়ারীর বিভিন্ন প্রজাতির রোপন কৃত প্রায় ৮০০ কলা গাছ কর্তন করে যার আনুমানিক ক্ষতি প্রায় ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধন করার অভিযোগ তার আপন ভাতিজা মহিন পাটোয়ারী ও আলমগীর পাটোয়ারী বিরুদ্ধে ।
সরজমিনে গিয়ে আবুল কালাম পাটোয়ারী সাথে কথা বললে তিনি জানান, তিনি ও তাহার আপন বড় ভাই আঃ মান্নান পাটোয়ারী ২০০৫ সালের ৫ ডিসেম্বর পাশ্ববর্তী কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত আঃ আব্দুল মান্নানের মিয়া ছেলে মাজহারুল ইসলামের কাছ থেকে ৪৬ শতাংশ ভূমি সমান সমান অংশে ক্রয় করেন যার দলিল নং ১০৮৮৩ এর মধ্যে ২৩ শতাংশ ভূমি আবুল কালাম কালু পাটোয়ারির এবং ২৩ শতাংশ ভূমি আঃ মান্নান পাটোয়ারীর নামে দলিল করা হয় ওই ভূমির আমার নামীয় ২৩ শতাংশ ভূমি ও আমার ভাই আঃ মান্নান পাটোয়ারী নামীয় ২৩ শতাশং ভূমি আমার ভাই আঃ মান্নান পাটোয়ারী মৃত্যুর পর ওনার ওয়ারিশ দের কাছ থেকে ওদের ২৩ শতাংশ ভূমি লিজ নিয়ে মোট ৪৬ শতাশং ভূমি মধ্যে কলার বাগান করে ভোগদখল করে আসছি।
গত ৩১ আগষ্ট আমি ও আমার ছেলে অসুস্থ হলে ডাক্তার দেখাতে ঢাকায় গেলে আমার ভাতিজা মহিম পাটোয়ারী ও আলমগীর পাটোয়ারী আমার কলার বাগানের ৮০০শত বিভিন্ন প্রজাতির কলাগাছ কর্তন করে,বিষয়টি আমি বাড়িতে এস জেনে কলা বাগান দেখতে যাই, গিয়ে দেখি আমার বাগানের সকল কলা গাছ কেটে জমিট দঃ পাশের কুপে ফেলে দেয়া হয়েছে,
ওই সময় সাথে সাথে বিষয়টি আমি স্হানীয় ইউপি সদস্য এমরান হোসেনকে বিষয়টি জানাই,মেম্বার কলা বাগান কর্তন ক্বারী আলমগীর কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আলমগীর মেম্বার কে জানায় আমার মা আমার চোট ভাই মহিম কে ওই দাগের ৪০ শতাশং ভূমি রেজিষ্ট্রেশন করে দেয়,ওই জমি তাদের হওয়ায় তাহারা ওই জমির ৪০ শতাংশ অংশের কলা গাছ কেটেছে এবং বলে আমাদের জমির কলা গাছ আমরা কেটেছি এতে কারো কিচু বলার নাই,মেম্বার এ কথা আবুল কালাম পাটোয়ারী জানিয়েছেন।
এ বিষয়টি স্হানীয় চেয়ারম্যান এইচ এম হারুন অর রশিদ কে আবুল কালাম পাটোয়ারী জানালে তিনি গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হন,এবং যথাযথ বিচারের আশ্বাস দেন,
তিনি আরো জানান তার নামে রেজিষ্ট্রেশনকৃত দলিলের ভূমি তার ভাইয়ের আঃ মান্নান পাটোয়ারী মারা যাওয়ার পর ভাইয়ের স্ত্রী জয়নবের নেচ্ছা তার ছেলে মহিম পাটোয়ারী নামে আইন বহিরভূত ভাবে তাহার অংশের ভূমি রেজিষ্ট্রেশন করে দেয়,বলে জানতে পেরেছেন এবং বিষয় টি সমাধান করার জন্য স্হানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বার সহ প্রশাসনের কাছে বিচার প্রার্থনা করেন অভিযুক্ত মধ্যে আলমগীর পাটোয়ারী সাথে বললে তিনি বলেন ওই জমি আমার চোট ভাই মহিনকে আমার মা রেজিষ্ট্রেশন করে দিয়েছে যথাযথ নিয়মে,আমরা আমাদের জমি কলা গাছ কেটেছি এখানে অন্য ফসল করব, তবে এ জমির বিষয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর স্হানীয় চেয়ারম্যান কার্যালয়ে বেঠকে হবে।
স্হানীয় ইউ পি চেয়ারম্যান ফরিদগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি এইচ এম হারুন-অর রশিদ জানান বিষয়টি আমার নলেজে রয়েছে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর স্হানীয় ইউপি কার্যালয়ে উভয় কে নিয়ে বসে সঠিক টা যেনে সমাদান করার চেষ্টা করব।