
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ গণমানুষের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আওয়ামী লীগ দিনের ভোট রাতে করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে। বাংলাদেশে দলীয় সরকারের অধীনে ভালো নির্বাচন হয় নাই, হবেও না। সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ, সংবিধান সংশোধন করে জাতিকে সঙ্কটমুক্তের দায়িত্বও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকেই নিতে। অনিবার্য সংঘাত এড়াতে সরকারকে দ্রুত পদত্যাগের ঘোষণা দিতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্তমান ক্ষমতাসীনদের অধীনে হবে না, হতে দেয়া হবে না। সরকার সসম্মানে পদত্যাগ না করলে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। গোটা জাতি আজ গণঅভ্যুত্থানের অপেক্ষায়। নতুন করে সঙ্কট তৈরি হোক এটি যেমন আমরা চাইনা, ঠিক তেমনি আমরা কোনো হায়েনা দস্যুদেরও ক্ষমতায় দেখতে চাই না। দখলদার আওয়ামী হায়েনাদের বিরুদ্ধে মুক্তিকামী সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আমাদের আন্দোলন ন্যায়প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। এ আন্দোলনকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। প্রয়োজনে গোটা দেশে আন্দোলনের দাবানল জ্বালিয়ে দেয়া হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা গাজী আতাউর রহমান আরও বলেন, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দেঢ় ধ্বংস করে ফেলেছে। করেছে। কোথাও শান্তি নেই, নিরাপত্তা নেই।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ যখন দিশেহারা ঠিক সেই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর ডিম ফর্মুলা দেশব্যাপী হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে। ডিম সেদ্ধ করে ফ্রিজে রাখার কথা বলে তিনি মানুষের সাথে তামাশা করেছে। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা আজ সরাসরি সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। এসব সিন্ডিকেটের কাছে সাধারণ মেহনতি মানুষ আজ অসহায়।
তিনি মেহনতি, কর্মজীবী, শ্রমজীবী, আলেম-ওলামা, আইনজীবী, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবি সংগঠনসহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে আওয়ামী স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান। সেই সাথে তিনি কল্যাণের রাজনীতি, মানবতা মুক্তির রাজনীতি, আদর্শ সমাজপ্রতিষ্ঠার রাজনীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষে ইসলামী আন্দোলনের ছায়াতলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
আজ ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকাল ৩টায় হাজিগঞ্জ মধ্যবাজার বালুরমাঠে থানা তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন ছিলেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘুবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মকবুল হোসাইন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের জেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, সেক্রেটারি কেএম ইয়াসিন রাশেদসানী, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা হেলাল আহমাদ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ নুরুদ্দিন খান।
শাখা সভাপতি আবদুল মতিন মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি হাফেজ শাহাদাত হোসাইনের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, খোরশেদ আলম, মাওলানা নুরে আলম, মুহাম্মদ আক্তার হোসেন নিপু, হাফেজ আক্তার হোসেন প্রমুখ।