মাসুদ হোসেন : চাঁদপুরে হঠাৎ করে অস্থির হয়ে উঠা ডাবের বাজারে মনিটরিং জোরদার করেছে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
গত শনিবার তিন ডাব ব্যবসায়ীকে ২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। আর ওই অভিযানের খবরেই ১৫০ টাকার ডাব চাঁদপুর শহরে সাইজ ভেদে ৬০-৯০ টাকায় বিক্রি শুরু করে দেয় ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নুর হোসেন রুবেলের নেতৃত্বে চাঁদপুর বড় স্টেশন তিন নদীর মোহনা এলাকায় গড়ে ওঠা অস্থায়ী ডাবের দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভোক্তা অধিদপ্তর কর্মকর্তার উপস্থিতি টের পেয়ে সাথে সাথেই ডাবের দাম ৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায় ব্যবসায়ীকে। কম দামে ডাব বিক্রি করতে দেখে দোকানের সামনে ভিড় লেগে যায় উপস্থিত ক্রেতাদের। মুহুর্তেই শেষ হয়ে যায় ব্যবসায়ীর সকল ডাব।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের নির্দশনা মোতাবেক শহরের বড় স্টেশন মোলহেড, বাস স্ট্যান্ড, কোর্ট প্রাঙ্গন, চেয়ারম্যান ঘাট, কালী বাড়ি, জোড় পুকুরপাড় ও হাসপাতালের সামনে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ডাব বিক্রেতাদেরকে নিজেদের ইচ্ছেমত দামে ডাব বিক্রি করতে দেখা যায়। সর্বনিম্ন ৯০ টাকা থেকে শুরু করে ১৩০ টাকা পর্যন্ত ডাব বিক্রি করতে দেখা গেছে। ডাব কেনার ক্রয়মূল্য এক জন এক রেট বলে, এবং ক্রয় ভাউচার দেখাতে পারেনি কেউ। অভিযানে পরিলক্ষিত হয়েছে যে, ৫০-৭০ টাকায় ক্রয় করে ৯০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অভিযানে অযৌক্তিক, অন্যায্য ও অতিরিক্ত দামে ডাব বিক্রি এবং ক্রয় ভাউচার দেখাতে না পারায় বড় স্টেশন মোলহেড এলাকার চাঁদ মিয়ার ডাবের দোকানকে ৩ হাজার টাকা, বাচ্চু মাঝির ডাবের দোকানকে ৩ হাজার টাকা এবং জোড় পুকুর পাড়ের চান্দু মিয়ার ডাবের দোকানকে ৩ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করেন চাঁদপুর জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নুর হোসেন রুবেল।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নুর হোসেন রুবেল বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ডাবের বাজারটাকে অস্থির করে রেখেছে। বাজারের সর্বক্ষেত্রেই একই অবস্থা। সেই সাথে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসকদের দেয়া পরামর্শে ডাব খুবই উপকারী। তাই ডাবের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা এর দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। প্রতিটি ডাব ব্যবসায়ীদের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ক্রয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ডাব বিক্রির নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।
এছাড়াও অন্যান্য ডাব ব্যবসায়ীকে সতর্ক করা হয়েছে। সবাইকে ক্রয় রশিদ সংগ্রহ করে ডাব বিক্রি করতে বলা হয়েছে।
এসময় স্যানেটারি ইন্সপেক্টর নীনা আক্তার ও জেলা ক্যাবের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব সরকার উপস্থিত ছিলেন। এতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম।