ফারুক হোসেনঃ মতলব উত্তরে কোথাও ডাব পাওয়া যাচ্ছে না। দু-এক জায়গায় মিললেও প্রতিটি ১৬০ থেকে ২শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মতলব উত্তরে ৩০ হাজার নারকেল গাছ রয়েছে। খুচরা বিক্রেতারা গ্রামগঞ্জ ঘুরে ডাব সংগ্রহ করে বিক্রি করে। সাধারণত রমজান মাসে ও তাপদাহের কারণে ডাবের চাহিদা বাড়ে।
বর্ষাকালে তেমন চাহিদা থাকে না। কিন্তু হঠাৎ ডেঙ্গু জ্বরসহ মৌসুমি জ্বরে আক্রান্ত ভয়াবহ রূপ ধারণ করায় স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ডাব উপজেলার চাহিদা মেটাতে পারছে না। প্রতিটি গ্রামে গ্রামে ডেঙ্গু জ্বরসহ মৌসুমি জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। ওইসব জ্বর রোগীতের ডাব খাওয়ার জন্য ডাক্তার পরামর্শ দিচ্ছি। ফলে এজন্য চরম ডাব সংকট দেখা দিয়েছে।
ছেংগারচর বাজারের খুচরা ডাব বিক্রেতা সামসুকে দেখা যায় নারকেল পর্যায়ের ৬টি ডাব নিয়ে থানা রোডে বিক্রির জন্য অপেক্ষা করছেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ কয়েক জন রোগী ১৮০ টাকায় ডাব কিনে পানি খেলেন।
ডাব খুচরা বিক্রিতা তমিজ বলেন, কয়েক মাসে আগেও ৪০-৬০ টাকা করে ডাব কিনতেন গাছ মালিকদের কাছ থেকে। বিক্রি করতেন ৭০-৮০ টাকা করে। বর্তমানে ১১০ থেকে ১৫০ টাকায় কিনে ১৬০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করেন। বর্তমানে জ্বরের প্রভাবে স্থানীয় গাছ মালিকরাও বেশি চাহিদা থাকায় বেশি টাকায় ডাবের দাম হাঁকাচ্ছে। ওই ডাব দেড়শ দু’শ টাকা করে বিক্রি করতে হচ্ছে।
ডাব সংকটের কারণে বাজারে নারকেলেরও দামও বেড়েছে। ৬০ থেকে ৭০ টাকা দামের নারকেল ঈদের বাজারে ১শ টাকা করে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে সেই নারকেলও ২শ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। ডাব ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে যে দামে ডাব বিক্রি হচ্ছে তাতে কোনো ডাবগাছের মালিক গাছে ডাব নারকেল হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে না। ডাবের এমন চাহিদার কারণে আগামী বছর নারকেল সংকট হবে মারাত্মক।
এক কলেজের শিক্ষক জানান, বাড়িতে সবাই মৌসুমি জ্বরে আক্রান্ত। রোগীদের জন্য হাটবাজার ঘুরে কোথাও ডাব পাননি। যদিওবা দুএকটি বাজারে দেখা মিলেছে তা ঝুনা হওয়ার পর্যায়ের। নড়ালে ভেতরে পানি খেলার শব্দ পাওয়া যায়।