কচুয়ায় ১৫ আগস্টের বঙ্গবন্ধুর ছবি-পোস্টার ছিড়ে ফেলার অভিযোগ

কচুয়া প্রতিনিধি : কচুয়া উপজেলার ১২ আশ্রাফপুর ইউনিয়নের মাসনিগাছা গ্রামে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্বলিত ছবিসহ শ্রদ্ধাঞ্জলির পোস্টার ছিড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। ১৪ আগস্ট ওই গ্রামের মীরশাহী পাকা রাস্তার দুই পাশের বিভিন্ন স্থানে লাগানো ১৫ আগস্টের পোস্টার ছিড়ে দুই যুবক মাটিতে ফেলে দিলে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।

ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মাও.আবু সাইদসহ দলীয় একাদিক নেতাকর্মীরা জানান,শোকের মাস আসলেই আমরা আতঙ্কের মধ্যে থাকি। বিএনপির সন্ত্রাসীরা ও বঙ্গবন্ধুর খুনিরা এই মাসে তৎপর হয়ে ওঠে কোনো না কোনো ঘটনা ঘটায়। তেমন একটি ঘটনা গত ১৪ আগস্টে ইউনিয়ন ছাত্রদলের দুই সমর্থিত কর্মী মাসনিগাছা গ্রামের মীরশাহী বাড়ীর হাফেজ বাচ্ছু মিয়ার ছেলে মো.নাজমুল ইসলাম (২৩) একই গ্রামের পশ্চিম হাজী বাড়ীর কামাল হোসেনের ছেলে সাব্বির হোসেন (২২) মিলে দুঃসাহস দেখিয়ে ঘটনা ঘটিয়েছে।

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্থানীয় সদস্য ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীর পক্ষ থেকে জাতীয় শোক দিবসের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্বলিত ছবিসহ শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে মাসনিগাছা এলাকায় বিভিন্ন স্থানে পোস্টার লাগানো হলে তারা প্রকাশ্যে ছিড়ে ফেলে। এ ঘটনা স্থানীয় লোকজন তাদেরকে জিজ্ঞাস করলে তারা নিজেরাও ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে স্বীকারোক্তি দেন। এই ঘটনা আমি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, মাসনিগাছা এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় লাগানো শোকাবহ ১৫ আগষ্ট সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি লেখা এবং বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ও স্থানীয় সাংসদ সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীর, সংসদ সদস্য প্রার্থী সাবেক এনবিআরের চেয়ারম্যান ও সচিব আলহাজ¦ মো.গোলাম হোসেনের ছবি সম্বলিত পোস্টার গুলো ছিড়ে ফেলা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের একাদিক নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জাতির জনকের ছবি এমনভাবে যারা ছিড়েছে বা এমন দুঃসাহস দেখিয়েছে। তদন্ত করে দ্রুত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক।

সম্পর্কিত খবর