স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চলছে সার্টিফিকেট বাণিজ্য হাত ভাঙ্গার সার্টিফিকেটের জন্য সাড়ে ১০ হাজার টাকা নিয়ে দালাল রাজু ধরা পড়ে ।
জানা গেছে,সরকারি হাসপাতালগুলোতে টাকার বিনিময়ে মিলছে ইনজুরির সার্টিফিকেট। মামলা করার জন্য দালালদের খপ্পরে পড়ে সার্টিফিকেটের নেওয়ার জন্য হয়রানি হচ্ছে ভুক্তভোগীরা।
হাত ভাঙ্গার ইনজুরি সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য দালালকে সাড়ে ১০ হাজার টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলা চরভাঙ্গা গ্রামের কৃষক খোরশেদ আলম।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে সার্টিফিকেট বাণিজ্য করতে এসে হাতেনাতে ধরা খেলো রাজু নামের এক দালাল।
হাড়ভাঙ্গার ইনজুরি সার্টিফিকেট করে দেওয়ার জন্য হাইমচরের চরভাঙ্গার ছমিদ মিজির ছেলে রাজু টাকা নিয়ে সার্টিফিকেট না দিয়ে আত্মসাৎ করেছ বলে অভিযোগ করে ভুক্তভোগী।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কৃষক খোরশেদ আলম জানায়, সম্পত্তিগত বিরোধী জের ধরে ভাই ও ভাতিজাদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। হামলাকারীরা একটি হাত ভেঙে দেয়। মামলা করার জন্য ইনজুরি সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা বলে পাশের বাড়ির রাজু সাড়ে দশ হাজার টাকা ডাক্তারকে দেওয়ার কথা বলে নিয়েছে। তবে টাকা দিলেও সার্টিফিকেট না দিয়ে রাজু তালবাহানা শুরু করে। এই ঘটনাটি হাসপাতালের এম্বুলেন্স চালকরা জানতে পেরে রাজুকে ধরে।
রাজু প্রথমে টাকার কথা স্বীকার না করলেও স্থানীয় এম্বুলেন্স চালকরা ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে ভাবে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে।
ইনজুরি সার্টিফিকেট করে দেওয়ার জন্য হাসপাতাল প্রাঙ্গনে আজাদ এক্সরে ক্লিনিকের মিজানের কাছে ৮ হাজার টাকা দিয়েছে বলে দালাল রাজু জানায়।
তবে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভুয়া ইনজুরির সার্টিফিকেট করে দেওয়ার কথা বলে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা বাণিজ্য হচ্ছে। হাসপাতালের সামনে কিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর লোকজন বহিরাগত দালালদের সাথে নিয়ে এই সার্টিফিকেট বাণিজ্য করে আসছে। ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে মামলা করে অনেক মানুষের জীবন নিঃস্ব হয়ে গিয়েছে।
এ কারণে এই সার্টিফিকেট বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরো নজরদারি করার অনুরোধ করেছেন ভুক্তভোগীরা। হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এই দালালদের ধরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা জোর দাবি জানান সচেতন মহল।