ফারুক হোসেনঃ মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেস্টার কারণে ২১ আগস্ট বাঙালী জাতির জন্য আরেকটি কালো অধ্যায়। ২০০৫ সালের এদিনে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালায় বিএনপি জামায়াত। যা বাঙালী জাতির জন্য একটি অত্যান্ত মর্মাান্তিক বিষয়।
সোমবার বিকালে উপজেলার সুজাতপুর ইউনিট আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস আরো বলেন, একাত্তরের স্বাধীনতা বিরোধীরা পরাজিত হয়ে পচাঁত্তরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করেছে।
পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে এসে মানুষের জন্য কাজ করেন। তাকেও ১৯ বার হত্যা চেস্টা করেছে সেই একাত্তরের দোসররা। তারা বার বার দেশে সন্ত্রাসী ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে যাচ্ছে। এবং জনগনের জানমাল লুটপাট ও ক্ষতি করছে। যখনই সংসদ নির্বাচন কাছে আসে তখনই শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র।
ক্ষমতায় আসতে হলে ষড়যন্ত্র নয়, লাগে জনগনের ভোট। দেশের নৈরাজ্য সৃষ্টি না করে নির্বাচনে অংশগ্রহন করলে বুঝা যাবে বিএনপি জামায়াতকে জনগণ কতটা পছন্দ করে।
তিনি আরো বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে তারা নিশ্চিহ্ন করে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু আল্লাহর রহমতে তা পারে নি। সেদিন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ সহ দলীয় বহু নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছে। আমি তাদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। আর যারা বেঁেচ আছেন, তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আছে বলেই আমরা পেয়েছি ডিজিটাল দেশ। ডিজিটাল দেশ থেকে পেতে যাচ্ছি স্মার্ট বাংলাদেশ। আমরা পেয়েছি পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সহ অসংখ্য মেঘা প্রকল্প এবং উন্নয়ন। সবচেয়ে বেশি যেটা পেয়েছি সেটা হলো, বিশ্বে বাঙালী জাতি মাথা উঁচু করে দাড়াতে পেরেছে।
যারা আমাদেরকে বলতো তলাবিহীন ঝুঁড়ি, তারাই আজকে আমাদের নেত্রীর কাছে শিখতে আসে কিভাবে এত উন্নয়ন হচ্ছে বাংলাদেশে। এটাই বাঙালী জাতির সফলতা। তাই আসুন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে আবারো ক্ষমতায় আনতে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত শহিদ এবং আহতদের স্মরণে সভা ও দোয়ার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শহীদ উল্লাহ প্রধান ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহজাহান প্রধানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আমিন বোরহান, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মতিন চৌধুরী, সাবেক শিক্ষক আব্দুস সাত্তার, দুর্গাপুনি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক নুরুজামান সরকার দুলাল, সুলতানাবাদ ইউনিয়র আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবুল বাসার খোকন,
দুর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রমিজ উদ্দিন মাস্টার, সুলতানাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম খন্দকার, ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী সালাউদ্দিন, সুজাতপুর আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসএম জামাল উদ্দিন, ইসলামাবাদ উইনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন পাটোয়ারী, এখলাছপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক জসিম উদ্দিন শ্যামল,
মতলব উত্তর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মোঃ শাহ জালাল মাস্টার, চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সুজন ভইয়া, ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়ন যুবলীগের পচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহবুব বেপারী, মতলব উত্তর উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওয়াছকুরুনী সরকার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য কালা সুজন, ছেংগারচর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান খান প্রমুখ।