স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর জেলার ৫নং হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের রাজধানীক্ষেত ৩নং ওয়ার্ড এর সুহিলপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়া সরকার বাড়ীর মোর থেকে দক্ষিণে মজুমদার বাড়ী পর্যন্ত কাঁচা রাস্তা দীর্ঘদিনেও পাকা না হওয়ায় বেহাল দশায় পড়েছে গ্রামের মানুষ।
গ্রামীণ এই সড়ক দিয়ে এলাকার কৃষক, ছাত্র-শিক্ষকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ চলাচল করেন। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি মানুষ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের একত্রিত বসবাসকারি প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের যাতায়াতের সড়কের বেহাল দশা। ভোগান্তিতে রয়েছে হাজার মানুষ।
এ রাস্তায় সামান্য বৃষ্টির পানিতে মাটি গলে কাঁদায় পরিণত হয়। বর্ষা মৌসুমজুড়েই রাস্তাটি কর্দমাক্ত পানিতে একাকার হয়ে পড়ে। এ কারণে রাস্তাটি যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে বেকায়দায় পড়েন। এতে তাদের ভোগান্তি ও ব্যয় দুটিই বাড়ে।
এ ছাড়া এই রাস্তা দিয়ে এলাকার মানুষ ইউনিয়ন পরিষদে ও শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। স্থানীয়রা জানান, রাস্তাটি দ্রুত পাকা না হওয়া পর্যন্ত তাদের দুর্ভোগ কমবে না।
এ এলাকার মাঝামাঝি স্থানে রাস্তার পশ্চিম পাশে দু’তলা বিশিষ্ট একটি মসজিদ রয়েছে, যেখানে বৃষ্টি হলেই নামাজের সময় মুসুল্লিরা মসজিদে যাতায়াত করতে পারে না।
শিশু-কিশোর-কিশোরিরা বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় অসংখ্য দুর্ঘটনার স্বীকার হয়। লজ্জার বিষয় হচ্ছে -এলাকায় বিনদেশি কোন অতিথি আসলে বলে এই এলাকায় সরকারের কোন জনপ্রতিনিধি নাই। বিশেষ করে কোন মা-বোনকে ইমার্জেন্সি হাসপাতালে নিতে হলে খুব ঝামেলা হয়। মহল্লাবাসীর দাবি এই সীমাহীন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি এবং উন্নত পাকা রাস্তা চাই।
দীর্ঘদিনেও রাস্তা পাকা না হওয়ায় কৃষক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ভোটের সময় জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিলেও দীর্ঘ বছর ধরে এ রাস্তাটি কাঁচাই রয়ে গেছে। রাস্তাটি আমাদের চলাচলের একমাত্র পথ। এ রাস্তা ছাড়া আর কোনো আমাদের চলাচলের জন্য বিকল্প রাস্তা নেই। বর্ষাকালে একটু হালকা বৃষ্টি হলেই রাস্তার মাটি নরম হয়ে ব্যাপক হারে কাঁদা-মাটি ও পিচ্ছিলসহ বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলের সময় বিপাকে পড়তে হয় আমাদের।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় গ্রামের শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সময় বিদ্যালয়ে সঠিক সময়ে উপস্থিত হতে পারে না।
এলাকাবাসী ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউসুফ প্রধানিয়া সুমন, স্থানীয় মেম্বার হেলাল উদ্দিন চৌধুরী এবং হাজীগঞ্জ উপজেলার সম্মানিত নির্বাহী অফিসারের দৃষ্টি কামনা করেন।