চাঁদপুরে ৬ঘন্টায় ৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড

বিশেষ প্রতিনিধি : চাঁদপুর জেলায় গত এক সপ্তাহ বৃষ্টিপাত বেড়েছে। একই সাথে বেড়েছে নদ-নদী ও খাল বিলের পানি। অতি বৃষ্টির কারণে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ও ব্যবসা বাণিজ্য অনেকটা ব্যাহত হয়ে পড়েছে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। পরবর্তী ৭২ ঘন্টার মধ্যে আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। আজ ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। নদীতে পানির সর্বোচ্চ উচ্চতা ছিল ৩.৮০ সেন্টিমিটার। তবে বিপদ সীমা থেকে ২০ সেন্টিমিটার কম আছে।

সোমবার (৭ আগষ্ট) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে এবং টানা বৃষ্টি হয়েছে চাঁদপুর জেলা জুড়ে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে শিক্ষার্থীদের বৃষ্টিতে ভিজে বাসা বাড়ীতে এবং অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে যেতে হয়েছে। একই সাথে শহরের সড়কগুলোতে যানবাহন সংখ্যাও কমে আসে।

শহরের হাকিম প্লাজার একজন মোবাইল ব্যবসায়ী জানান, বৃষ্টির কারণে গত কয়েকদিন বেচাকেনা খুবই কম। তিনি রোববার সকাল সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত মাত্র ৬০০টাকা বিক্রি করেছেন।

নিউ ট্রাক রোডের একজন সব্জি বিক্রেতা হকার জানান, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনি মাত্র ২-৩শ’ টাকা বিক্রি করেছেন। বৃষ্টি হলেও কিছু করার নেই। কারণ সংসার চালানোর জন্য নামতে হবে, ঘরে বসা থাকার অবস্থা নেই।

চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ মুহাম্মদ শোয়েব জানান, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। পরবর্তী ৭২ ঘন্টার মধ্যে আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

গহ ৭ দিন যাবত বৃষ্টিপাত চলমান রয়েছে। আজ সকাল ৬ টা হতে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে এবং গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ওমর ফারুক জানান, মেঘনা নদীর চাঁদপুর অংশে আজ সকাল সাড়ে ৯টায় পানির সর্বোচ্চ উচ্চতা ছিল ৩.৮০ সেন্টিমিটার। আর সর্বনিম্ন ছিল ২.৫০ সেন্টিমিটার। এখনও বিপদসীমা থেকে ২০ সেন্টিমিটার নীচে রয়েছে। পানির বিপদজনক উচ্চতা হচ্ছে ৪.০০ মিটার।

সম্পর্কিত খবর