ফরিদগঞ্জে মোবাইল না পেয়ে ছাত্রীর আত্মহত্যা

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি:ফরিদগঞ্জে প্রেমিকের সাথে মোবাইলে কথা বলতে না পেরে মাদ্রাসার দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী আখি আক্তার(১৭) আত্মহত্যা করেছে।

৪ আগস্ট শুক্রবার সকালে পৌর এলাকার পশ্চিম বড়ালী আজিম পাটওয়ারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আত্মহত্যা কারী আখি প্রবাসী আক্তার হোসেনের মেয়ে। আখি চরপাড়া মোহাম্মদিয়া তৈয়্যবিয়া সুন্নিয়া আলিম মাদ্রাসার দশম শ্রেনির শিক্ষার্থী।

একই বাড়ির কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন ও আখির স্বজনরা জানান, আখি বেশ কিছুদির ধরে একটি ছেলের সাথে মোবাইলে কথা বলে। পরিবারের লোকজন জানতে পেরে তাকে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বারন করে। কিন্তু আখি তা না মেনে মোবাইল দিয়ে সকলের অগোচরে কথা বলে ওই ছেলের সাথে। শুক্রবার সকালে আখির ছোট ভাই সানী মোবাইল ফোনটি লুকিয়ে রাখে। আখি সানীর কাছে মোবাই চায়। সানী মোবাইল দিতে পারবেনা বললে তাদের মাঝে ঝড়গা হয়।

একপর্যায়ে আখি অভিমান করে নিজের রুমে গিয়ে ধরজা বন্ধ করে দেয়। তাকে বারবার ডাকাকাকি করলেও তার কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে আখির চাচাতো ভাই আবু নাইম জানালা দিয়ে দেখতে পায় সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে। পরবর্তিতে তাদের চিৎকার শোনে বাড়ির লোকজন এসে রুমের দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।

মাদ্রাসার ছাত্রীর আত্মহত্যার সংবাদ পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

আখীর সৎ মা ফাতেমা বেগম বলেন, আখি সকালে সে ঘুমের থেকে উঠে নাস্তা করেছে, সে মোবাইল নিয়ে কোন ছেলের সাথে কথা বলে, তাই তাকে মোবাইল দেওয়া হইনি। এতে সে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অপিসার ইনচার্জ মো. আবদুল মান্নান বলেন, আত্মহত্যাকারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। তার পরিবারের দাবি আখি আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত কারন জানা যাবে। একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

সম্পর্কিত খবর