ইউপি সদস্য রাসেল কাজীর উন্নয়ন কাজে খুশি এলাকাবাসী

গাজী মোঃ ইমাম হাসানঃ চাঁদপুর সদর উপজেলার ৭ নং তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের ৩ ওয়ার্ডের প্রতিনিধি রাসেল কাজীর উন্নয়ন কাজে খুশি এলাকাবাসী।ক্রমাগত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জনগুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন হওয়ায় রাসেল কাজীর উপর এলাকাবাসীর প্রত্যাশাও বাড়ছে।

সরজমিন পরিদর্শন গিয়ে দেখা যায় বর্তমান ইউপি সদস্য রাসেল কাজী তার ওয়ার্ডে বেশ কয়েকটি উল্লেখ্যযোগ্য কাজ করছেন।রাস্তা-ঘাট নির্মান,রাস্তা মেরামত,পাকা ঘাটলা নির্মান,গাইড ওয়াল নির্মান,রাস্তা সিসি ঢালাই,ইটের সলিং দিয়ে রাস্তা নির্মান,বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতা,পাবলিক টয়লেট নির্মান,দুগ্ধ ভাতা,বিজিডি, বিজিএফ,মাতৃত্ব কালীন ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করতে পেরেছেন।

৩ নং ওয়ার্ডের উন্নয়ন কাজের ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য রাসেল কাজী বলেন আমার বাবা মরহুম রফিকুল ইসলাম বাবুল মেম্বার একজন প্রতিনিধি ছিলো।বাবা ৪ মেয়াদে টানা ২৪ বছর এই ওয়ার্ডের মানুষের জনসেবা করে গেছেন।বাবার অনুপ্রেরণা থেকেই জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছি।

আমি নির্বাচিত হওয়ার পর আমার ওয়ার্ডে এ পর্যন্ত মোট ১৮ লক্ষ ৬০০০০ হাজার টাকার উন্নয়ন কাজ করেছি।জেলা পরিষদ,উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বরাদ্দ পেয়েছি।যার মধ্যে জেলা পরিষদ থেকে পেয়েছি ১১ লক্ষ টাকা,উপজেলা পরিষদ থেকে পেয়েছি ৫ লক্ষ টাকা এবং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পেয়েছি ২ লক্ষ ৬০০০০ টাকা।এই বরাদ্দের টাকা দিয়ে জনগুরুত্বের বিবেচনা করে আমার ওয়ার্ডে কাজ করছি।

কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে শখা মিয়া সড়ক হইতে তালুকদার বাড়ি পযর্ন্ত রাস্তা সিসি ঢালাই করন,বি টি রোড জি টি রোড সংযোগ সড়ক মাটি দিয়ে ভরাট,খাঁন বাড়ি কবরস্থান রক্ষায় পুকুর পারে গাইড ওয়াল নির্মান,বি টি রোড হইতে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাজাহান কাজীর বাড়ির রাস্তা সিসি ঢালাই করন,কাজী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হইতে কাজী বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সিসি ঢালাই করন, বি টি রোড জি টি রোড সংযোগ সড়ক হইতে ইঞ্জিনিয়ার খলিলুর রহমান মাল বাড়ি পর্যন্ত সড়ক ইটের সোলিং করন, কাজী বাড়ি সংলগ্ন পাবলিক টয়লেট নির্মান কাজ করেছি।এছাড়াও আরোও কিছু কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এছাড়াও তিনি বলেন ৩ নং ওয়ার্ডে ১৬০ জনকে বয়স্ক ভাতা,৭০-৮০ জনকে বিধবা ভাতা,২০-২৫ জনকে প্রতিবন্ধী ভাতা,৪৮ জনজে জেলে কার্ড,৬০ জনকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল প্রদান,১০ জনকে বি জি এফ কার্ড প্রদান,১০ জনকে মাতৃত্বকালিন ভাতা প্রদান করেছি।

ইউপি সদস্য রাসেল কাজী জানান শেখ হাসিনা সরকার জনবান্ধন ও উন্নয়নবান্ধব সরকার।এই সরকারের আমলে আমাদের চাঁদপুরে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির মাধ্যমে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হয়েছে। সাধারণ মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার পেছেয়ে।যার অংশ হিসাবে আমার ওয়ার্ডে এতগুলো কাজ করা সম্ভব হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রামকে শহরে রুপান্তর করেছেন।ডিজিটাল বাংলাদেশের পর এখন স্মার্ট বাংলাদেশের ঘোষনা দিয়েছেন। তাই গ্রামের মানুষের কাছে সকল সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দিতে চাই।গ্রামের মানুষের জীবন যাপন স্মার্ট করতে চাই।উপকারভোগী মানুষের মুখের হাসি আমাকে কাজের ও এগিয়ে যাবার অনুপ্রেরণা বাড়িয়ে দেয়।আমি সম সময় তাদের সেবা করেই পাশে থাকতে চাই।

সম্পর্কিত খবর