মতলব প্রতিনিধি : সম্পত্তিগত বিরোধের জের ধরে মারধর অতপর স্বপ্না নামে এক নারী সহকারি আইনজিবীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন মৃতের বাবা জাহাঙ্গীর । এ ঘটনাটি ঘটেছে মতলব দক্ষিণ উপজেলার ৪নং নারায়নপুর ইউনিয়ন উত্তর পয়ালী গ্রামের মৃত ডা: লতিফ মিয়াজীর বাড়ীতে ।
সরেজমিন জানা যায়, গত ২২ জুলাই দুপুর ১২টার সময় মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম
নিজের জায়গায় বেড়া দিতে গেলে বাধা দেয় তার নিকটতম আত্বীয় ও একই বাড়ীর মৃত আব্দুল আলী মিয়াজীর ছেলে ওচমান গনী(৩৮) এ নিয়ে কাথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওচমান গনী তার বোন জামাই আবুল বাসার,
ছেলে ইকরাম,বোন শিল্পী ও বিলকিস মারধর করলে গুরতর রক্তাক্ত যখম হয় জাহাঙ্গীর আলম । এ সময় আশপাশের লোকজন এসে আহতকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । ওই ঘটনার পর তার মেয়ে 999 এ কল করলে দুপুর দেড়টার সময় তারা স্বপ্নাকেও বেধম মারধর করে এতে সেও গুরতর রক্তাক্ত যখম হয় ।
পরে তাকে চাঁদপুর হাসপালে নিয়ে যাওয়া হয় । স্বপ্নার মাষ্টার ডিগ্রী পরিক্ষার কারনে সে ঢাকা চলে যায়। মৃত স্বপ্না এলএলবি পাশ করার পর ঢাকাতে সহকারী আইনজীবী হিসাবে প্র্যাকটিস করেছিলো ।
ঐ ঘটনায় গত ২৫ জুলাই তার শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন । পোস্টমডেম কাজ সম্পন্ন করে গ্রামের বাড়ীতে তাকে দাফন করা হয় ।
নিহত স্বপ্নার পিতা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘটনার দিন আমি আমার জমিতে বেড়া দিতে গেলে ওচমান গনী গংরা আমাকে মারধর করে। আমার মাথা ফেটে যায় ।
পরে আমাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারা আমার মেয়ে স্বপ্নাকে মারধর করে । স্বপ্না তার পরিক্ষার জন্য ঢাকা চলে যায়, পরে তার অবস্থা খারাপ হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন । আমার মেয়েকে ওচমান গনী গংরা হত্যা করেছে আমি এ হত্যার বিচার চাই।
এ বিষয়ে ওচমান গনীর বাড়ীতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি অভিযুক্তরা ঘরে তালা দিয়ে গাঁ ঢাকা দিয়েছে বলে জাহাঙ্গীর ও এলাকাবাসী জানা যায়।
এ ঘটনায় মতলব দক্ষিন থানার ওসি তদন্ত সালেহ আহম্মেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন । তিনি জানান এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে ।