এম.এম কামাল: চাঁদপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে টিসিবির পণ্যে মিলছে না চিনি। এতে উপকারভোগীরা চিনি না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। ফলে বাধ্য হয়ে তারা বেশি দাম দিয়ে চিনি কিনে নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই ) সকাল চাঁদপুর সদর উপজেলার ৩-নং কল্যাণপুর ইউনিয়ন ও ২-নং আশিকাটি ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে টিসিবির টিসিবির পন্য বিতরণ করা হয়েছে।
ইউনিয়ন দুইটিতে ডিলার পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায় চিনি না পেয়ে কার্ডধারী উপকারভোগীদের হতাশার দৃশ্য। ডিলার পক্ষ বলেছেন, কর্তৃপক্ষ এবার চিনি দেয়নি। তাই চিনি ছাড়া তেল ও ডাল বিক্রি করছি।
টিসিবির ডিলারদের তথ্য মতে, কল্যাণপুর ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডে ৮`শ ৯০জন উপকারভোগীর সংখ্যা
এবং আশিকাটি ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডে উপকারভোগীর সংখ্যা ১ হাজার ১`শ ১জন।
এসব উপকারভোগী পরিবারগুলো ২০০ টাকা মূল্যে দুই লিটার তেল, ১৪০ টাকা মূল্যে দুই কেজি মসুর ডাল ও ৬০ টাকা মূল্যে এক কেজি চিনি পেতেন। তবে এবার টিসিবি কর্তৃপক্ষ চিনি না দেওয়ায় শুধু তেল ও ডাল পাচ্ছেন।
মিসেস বেলু বেগম নামের টিসিবির এক কার্ডধারীনী জানান, টিসিবিতে ৬০ টাকা কেজি দরে চিনি দেওয়া হত। কিন্তু এখন চিনি দেওয়া হচ্ছে না। যারা টিসিবির পণ্য বিতরণ কারি ডিলার প্রধনীয়া এন্টারপ্রাইজের পরিচালক ও খোকন ষ্টোর এর পরিচাক খোকন সাহা কে চিনি না দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে, সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারেন্নাই।
জেসমিন নামের আরেক কার্ডধারীনী বলেন, আগে কম মূল্যে টিসিবির চিনি পেতাম। এ মাসে চিনি দিচ্ছে না। এখন বাধ্য হয়ে অধিক মূল্যে চিনি কিনতে হবে।
টিসিবির ডিলাররা জানান এবার চিনি নেই। তাই উপকারভোগীদের চিনি দিতে পারছি না।
আশিকাটি ইউনিয়নে টিসিবির পণ্য বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন, পরিষদের চেয়ারম্যান বিল্লাল মাষ্টার, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মানিক, মেম্বার মোঃ শামছুল, ২-নং আশিকাটি ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সাইফুল ইসলাম মামুন মাল, চাঁদপুর উপজেলা পরিষদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও টেক অফিসার মোঃ মোবারক হোসেন।
কল্যাণপুর ইউনিয়ন পরিষদের টসিবির পন্য বিতরণের উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও টেক অফিসার খাইরুল বাসার প্রমুখ।