কচুয়া প্রতিনিধি : কচুয়ায় মাদক সেবন ও বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় শাহজাহান (৪০) নামের একজন গুরুতর আহত হয়েছে।
গত শুক্রবার রাতে উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের মাসনিগাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত শাহজাহান বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় আহত মো. শাহাজাহান বাবা মো: শহীদ উল্লাহ বাদী হয়ে মৃত: আঃ মমিন মিয়ার ছেলে মো. সেলিম সহ ৭ জনকে বিবাদী করে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিবাদী সেলিম গংরা এলাকায় উঠতি বয়সের ছেলেদের নিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবন করে। শাহজাহান এর প্রতিবাদ করায় বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীর্তি ও হুমকি প্রদর্শন করে এবং মাসনিগাছা বাজারে আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে দিবে না বলে হুমকি দেয়। গত ৭ জুলাই সকাল বেলা আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাজার থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য বলে, আমার ছেলে শাহজাহানের সাথে বিবাধে জড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসে আপোষ মিমাংসা করে দেবে বলে আশস্থ করে।
পরে ওই দিন রাত্রে শাহজাহান বাড়ির ফেরার পথে মাসনিগাছা সাকিন মিয়ার বাড়ির সামনে রাস্তার উপর পৌছলে বিবাদী মো. সেলিম দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শাহজাহানকে রক্তাক্ত জখম করে। তার সাথে থাকা ২ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা সেলিম গংরা নিয়ে যায়।
সে আত্মরক্ষার্থে রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়ে মাসনিগাছা বাজারে আসলে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে আহত অবস্থায় শাহজাহানকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশঙ্কজনক দেখে কুমিল্লায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে।
আহত শাহজাহানের বাবা শহীদ উল্লাহ্ বলেন, বিবাদী সেলিম এলাকায় উঠতি বয়সের ছেলেদের নিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবন করে। আমার ছেলে শাহজাহান এর প্রতিবাদ করায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। এখন সে জীবন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমার ছেলের উপর মারধর ও হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
বিবাদী মো. সেলিম মুঠো ফোনে জানান, মাদক সেবন ও বিক্রির সাথে আমি জড়িত নই।
এ ব্যাপারে কচুয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. মোশারেফ হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।