স্টাফ রিপোর্টার : মতলব দক্ষিণ থানার এসআই আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ চাঁদপুরের পুলিশ সুপারের বরাবর দাখিল করেছেন ভুক্তভোগী নারায়ণপুর ইউনিয়নের বাড়ৈগাঁও গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে মহস্য শাহ আলম।
অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, গত ১০ জুন ২০২৩ ইং তারিখে ভুক্তভোগী শাহ আলম (৬০) পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগে উল্লেখ: আমি পেশায় একজন মৎস্য ব্যবসায়ী ও চাষী, আমার বসত বাড়ির পূর্ব দিকে ওয়ারিস সূত্রে প্রাপ্ত
আমি পেশা একজন মৎস্য ব্যবসায়ী ও চাষী। আমার বসত বাড়ীর পূর্ব দিকে ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ও অপরাপর ওয়ারিশ নাছির, রহমত উল্যা, বাবুল ও মোহন এর নিকট হইতে বহু বৎসর যাবৎ মৌখিক ভাবে পুকুর লীজ নিয়া মৎস্য চাষ করিয়া আসছি। বিগত ০২/০৬/২০২৩ইং তারিখ রাত্র ৮টায় আমার অপরাপর ওয়ারিশগণ হঠাৎ করে আমার লীজের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আমাকে পুকুর ছেড়ে দিতে বলেন।
বিগত ০৩/০৬/২০২৩ইং তারিখে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনা স্থলে হাজির হয়ে আমাকে পুকুর ছাড়িয়া দেওয়ার জন্য হুমকি ধমকি প্রদর্শন করেন এবং বলেন আগামী ০৯/০৬/২০২৩ইং তারিখে থানায় এসে হাজির হওয়ার জন্য। কিন্তু বিগত ০৮/০৬/২০২৩ইং তারিখে গভীর রাত্রে আমার সাথের পুকুরের অপরাপর ওয়ারিশগন রাতের আধাঁরে আমার চাষকৃত পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে পুকুরের সকল মাছ মেরে ফেলে। ‘আমার প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। আমি ভোর বেলায় ঘুম হতে উঠে পুকুরে মরা মাছের অবস্থা দেখে
অভিযুক্ত পুলিশ কর্কর্তাকে বিষয়টি মোবাইলে অবগত করলে অভিযুক্তকে ঘটনা স্থলে আসতে বললে অভিযুক্ত ঘটনা স্থলে না এসে আমাকে মোবাইলে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও হুমকি ধমকি দেন।
অতঃপর অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা ১০/০৬/২০২৩ইং তারিখে সকাল বেলায় ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে পুকুরের পানি নিস্কাশন করার জন্য ১টি পাম্পের মেশিন বসান। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত থেকে পুকুরের পানি নিস্কাশনে আমার অপরাপর শরীকগণকে সহযোগীতা করেন, যাহা সম্পূর্ণ বেআইনী।