মাদকসেবী স্বামী সাইফুলের নির্যাতনের স্বীকার গৃহবধূ

চাঁদপুর খবর রির্পোট: কুমিল্লা জেলার লাইমাই থানার ১০নং দক্ষিন পেরুল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের গজারিয়া গ্রামের ভূইয়াবাড়ি নিবাসী গৃহবধু রুবিনা আক্তার (৩৭) তার মাদকসেবী ঘাতক স্বামী সাইফুল ইসলাম ভূইয়া’র বিরুদ্ধে লালমাই থানায় নারী নির্যাতন ও শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন।

লালমাই থানার ওসির বরাবর হোয়ারসপে অভিযোগটি পাঠিয়েছে গৃহবধু রুবিনা আক্তার ।

গতকাল ১১জুন (রবিবার) তিনি কুমিল্লা জেলার লাইমাই থানাধীন গজারিয়া (ভূইয়াবাড়ি) বাদীর নিজ বসতঘরে গত ৬জুন তিনি তার মাদকসেবী স্বামী মো: সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়াকে নারী নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামী করে লালমাই থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন।

এতে স্বাক্ষী করা হয়েছে বাদীর কন্যা সানজিদা আক্তার (১৮), ছেলে মো: হাসান (১২), কন্যা শিলা আক্তার (১২) কে।

অভিযোগে বাদী গৃহবধূ রুবিনা আক্তার উল্লেখ করেন, আমি আমার (বাদ বসতঘরে ৩সন্তানদের নিয়ে একা বসবাস করি। আমার স্বামী উল্লেখিত ঘটনার দিন নেশা করে আমার উপর শারিরীক নির্যাতন করে। আমাকে গলায় মশারী দিয়ে ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।

এতে আমার চিৎকারে শুনে আমার বড় মেয়ে আমাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। বিবাদী আমার স্বামী আমার বড় মেয়েকেও আঘাত করে। বর্নিত বিবাদী এছাড়াও ৭/৬/২০২৩ইং তারিখে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় আমাকে পুনরায় হত্যার চেষ্টা করে এবং আমার সন্তানদের উপর আঘাত, অত্যাচার করে। সে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় আমাকে ও আমার সন্তানদের চিনে না।

বর্ণিত বিবাদী সর্বশেষ ৮/৬/২০২৩ইং তারিখে গাজাঁ, ইয়াবা সেবন করে আমাকে নীলাফুলা জখম করে। বিবাদী এলাকায় মাদক সেবন কারী ও মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। আমাকে বিভিন্ন সময় বিবাদী নেশা করার জন্য টাকা পয়সার দিতে চাপ প্রয়োগ করে। এতে আমি অনীহা জানালে আমাকে শারীভাবে নির্যাতন ও হত্যা করার হুমকি দেয়। আমার সন্তানরা তাদের বাবাকে (বিবাদীকে) এসব করতে না করলে ৮/৬/২০২৩ইং তারিখ তার মাদক বেচাকেনার দোকানের ভিতরে আমার সন্তানদের রেখে মারধর করে। আমাকে বিবাদী প্রায় সময় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে। বিবাদী একজন নেশাগ্রস্থ, তা এলাকার সবাই জানে। আমি এর সুষ্ঠু বিচারর চাই।

এ ব্যাপারে লালমাই থানার ওসির সাথে দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকা অফিস থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে । বিষয়টি ওসি মহোদয়কে জানানো হয়েছে । সাথে সাথে ওসির মহোদয় ঘটনাস্থলে এসআইকে পাঠিয়েছে । আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রুবিনা আক্তার জানান, লালমাই থানার ওসির বরাবর হোয়ারসপে অভিযোগটি পাঠিয়েছি । আমি স্বামীর নিযাতনের ফলে আমার বাপের বাড়ীতে এসে আশ্রয় নিয়েছি ।

এ ছাড়াও আমি আমার স্বামী কর্তৃক নির্যাতনের স্বীকার হয়ে নিরাপত্তা চেয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় জিডি করেছে। আমার তিন সন্তান রয়েছে। লেখাপড়া করছে। তাদেরকে সে নিয়মিত নিযাতন করে। তাদের লেখাপড়া বন্ধের উপক্রম হয়েছে ।

সম্পর্কিত খবর