স্টাফ রিপোর্টার : হিন্দু সম্প্রদায়ের আরেক ধর্মীয় উৎসব আষাঢ়ের রথযাত্রা। এ উপলক্ষে পুরানবাজার জগন্নাথ মন্দিরে এ উপলক্ষে পুরান বাজার হরিসভা মন্দির কমপ্লেক্সের জগন্নাথ মন্দিরের স্নানযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল ৪ জুন (বাংলা ২০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০) জগন্নাথ দেবের মহাস্নানযাত্রা উৎসর পালন করা হয়। স্নানযাত্রা উৎসব, জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার আগে এর মাহাত্ম্য কী । শ্রীক্ষেত্র পুরীতে প্রতি ১২ বছর অন্তর নব কলেবর উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। স্কন্দপুরাণ অনুযায়ী, রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন জগন্নাথ দেবের কাঠের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এই দিনে। তার পর থেকেই এই স্নানযাত্রা উৎসব শুরু হয়।
জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা এক অতিপূণ্য মহোৎসব। স্কন্দ পুরাণে পুরুষোত্তম ক্ষেত্র এই মাহাত্ম্যর কথা। জ্যৈষ্ঠী পূর্ণিমায় শ্রী হরির স্নানযাত্রা দর্শনের মাধ্যমে অনায়াসেই জীব মুক্তি লাভ করতে পারে। এমন কি কেউ যদি ভক্তি সহকারে একবারও স্নান যাত্রা মহোৎসব দর্শন করেন, তার সংসার বন্ধন থেকে মুক্তি লাভ সুনিশ্চিত হয়ে যায়। তার আর শোক করতে হয় না। জৈমিনি মুনি স্নান যাত্রার মাহাত্ম্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ভগবান পুরুষোত্তমের স্নানযাত্রা দর্শন করলে জীব তীর্থ সমূহে স্নান করার থেকেও শতগুণ অধিক ফল প্রাপ্ত হয় এবং এতে কোনো সংশয় নেই।
স্নানযাত্রার পূর্বে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা দেবী কে রেশমি কাপড় দিয়ে আবৃত করা হয়। ১০৮ জলপূর্ণ ঘড়া দিয়ে বিগ্রহের অভিষেক সম্পন্ন হয়। উৎসবের পর জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমা থেকে আষাঢ়ী আমাবস্যা পর্যন্ত ভগবানকে জনসাধারণের থেকে দূরে রাখা হয়। এই কয়দিন ভগবানের নিত্যপুজা শুধু চালু থাকে ৷ পনেরো দিন পর ভগবানকে আবার নবসাজে ফিরিয়ে আনা হয়। আবার জগন্নাথ দেবকে সবার সামনে জনসাধারণের দর্শনের জন্য নিয়ে আসা হয় ৷
গতকাল পুরান বাজার হরিসভা মন্দির কমপ্লেক্সের জগন্নাথ মন্দিরের জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকেই ভক্তরা সমবেত হতে থাকে। তাদের মনবাসনা পুরনের লক্ষ্যে জগন্নাথ দেবকে ১০৮ জলপূর্ণ দিয়ে স্নান করায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, সাধারন সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ, জগন্নাথ মন্দির পরিচালনা পরিষদের সাধারন সম্পাদক ডাঃ সহদেব দেবনাথ, সদর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খিস্ট্রান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক বিমল চৌধুরী, জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক সরকার,অধ্যক্ষ বিশাল গোবিন্দ দাস অধিকারী,পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নেপাল সাহা সাধারণ সম্পাদক সুমন সরকার জয়সহ সনাতন ধর্মাবলম্বীরা উপস্হিত ছিলেন।