কচুয়া প্রতিনিধি : কচুয়ায় সংখ্যালঘু পরিবারের জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। জমি দখলে বাধা দেওয়ায় জমির মালিক প্রবীর চন্দ্র সরকারকে বেধরক মারধর করেছে দখলকারী মিলন গংরা। গতকাল শুক্রবার সকালে পৌরসভার কড়ইয়া নোয়াবাড়ী রাস্তা সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
এব্যাপারে শ্রীধাম চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে কচুয়া থানায় ওই গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে মিলন, আবু তাহেরের ছেলে নুরু উদ্দিন ও আলা উদ্দিনকে বিবাদী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের কারেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিবাদীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে শুক্রবার সকালে বাদীর দখলীয় জমিতে জোরপূর্বক ভেকু দিয়ে মাটি কাটা শুরু করে। খবর পেয়ে প্রবীর চন্দ্র সরকার বাধা প্রদান করলে বিবাদীরা লাঠিশোঠা নিয়ে তার উপর হামলা চালায়। পরে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে প্রবীর সরকারকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
বিবাদী মিলন জানান, শ্রীধাম চন্দ্র ও প্রবীর চন্দ্রের বাবা অমূল্য চন্দ্র সরকার এই ২৮ শতক জমি বিক্রি করবে বলে আমার কাছে আসলে এই জমির মূল্য ২৮ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা নির্ধারন করা হয়। যারমধ্যে ১ শতক জায়গা চলাচলের পথ হিসেবে উন্মুক্ত থাকবে। তারা পর্যায় ক্রমে আমার কাছ থেকে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে জমি বিক্রি বাবাদ ২০ লক্ষ টাকা নেয়। বাকী টাকা নিয়ে রেজিস্ট্রি করে দিতে বললে তারা রেজিস্ট্রি না দিয়ে গড়িমসি শুরু করে। তাই আমি জমি দখল করতে যাই।
বাদী শ্রীধাম চন্দ্র সরকার জানান, কড়ইয়া মৌজার সাবেক ৪৩৫ দাগের ২৮ শতাংশ জমি জোরপূর্বক ভাবে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে দখলের চেষ্টা করে মিলন গংরা। এই জমিটি আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। আমরা ও আমাদের বাবা মিলন গংদের কাছে জমি বিক্রিবাবদ কোনো স্ট্যাম্পে বায়না করেনি। টাকা আনাতো দূরের কথা ।
তদন্ত কারী কর্মকর্তা এএসআই বাবুল জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে মাটি কাটা বন্ধ করে দেই। উভয় পক্ষকে সঠিক কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসার জন্য বলা হয়েছে।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইব্রাহিম খলিল জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, ঘটনাস্থলে আমার এক কর্মকর্তাসহ ফোর্স পাঠিয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।