কচুয়ায় বিষ খাইয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যা করার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরের কচুয়ায় অবুঝ দুটি সন্তান রেখে মা চলে গেল দুনিয়া ছেড়ে। বিষ খাইয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যা করার অভিযোগ পরিবারের ।

কি হবে এই অবুঝ দুটি বাচ্চার এখনো জানেনা তার মা দুনিয়াতে বেছে নেই, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুলসুমা নামে এক প্রবাসীদের স্ত্রীর করুন মৃত্যু হয়েছে। প্রবাসীদের স্ত্রীকে বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন পরিবারের স্বজনরা।

শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে অতিষ্ঠ অবশেষে শাশুড়ি ও ননদ পরিকল্পিতভাবে বিষ খাইয়ে দিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালে মৃত্যুর খবর শুনে লাশ রেখে শ্বশুর শাশুড়ি ও ননদ পালিয়ে যাওয়ায় সন্দেহের আরো ঘনীভূত হয়।

প্রিয় দর্শক তেমনি একটি ঘটনা ঘটেছে চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার নলুয়া হিজরা বাড়ির ওমান প্রবাসী রবিউল আউয়ালের বাড়িতে।

মৃত্যুর যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকলে প্রবাসীর স্ত্রী কুলসুমাকে কচুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতলে ডাক্তারের অবহেলা চিকিৎসার অভাবে দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা মৃত্যুর যন্ত্রনা ছটফট করার পর চিরতরে দুনিয়া ছেড়ে চলে যায় পরপারে।

প্রিয় দর্শক একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে গেল হাসপাতালে লাশের পাশে ছয় বছর বয়সী রবিন ও তিন বছরের আরাফাত নামে অবুঝ দুটি সন্তান বসে থেকে মাকে ডাকছে। এই অবুঝ সন্তান দুটি এখনো জানে না তার মা দুনিয়ায় বেঁচে নেই। পরিবারের সজনরা জানান, কচুয়া নলুয়া হিজরা বাড়ি হুলু মিয়ায় ছেলে রবিউল আউয়ালের সাথে কুলসুমার বিয়ে হওয়ার পর যৌতুকের জন্য তাকে প্রচুর নির্যাতন করত। কুলসুমার বাবা শাহজাহান জায়গা বিক্রি করে রবিউলকে কুয়েতে পাঠায়।

কিন্তু কুলসুমার শশুর হুলু মিয়া শাশুরী রমুজা ও ননদ নিলে প্রায় সময় তাকে মারধর করত। ঘটনার দিন সুপরিকল্পিতভাবে কুলসুমাকে খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে।

পরে বাড়ির মানুষ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসার পর ডাক্তার রোগীকে না দেখার কারণে চিকিৎসার অভাবে কুলছুমার করুণ মৃত্যু হয়েছে। কুলছুমার খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি থানায় নিয়ে আসে।

সম্পর্কিত খবর