স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নে মেম্বারের সাথে মায়ের পরকিয়ার বিরুদ্ধে ছেলে অভিযোগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ছেলে সংবাদকর্মীদের কন্না ঝড়িত কন্ঠে মায়ের পরকিয়ার কথা জানান। সামাজিক এ অভক্ষয়ের কারনে এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। অভিযুক্তদের অনিয়ম প্রতিরোধে ছেলে শিশিরসহ এলাকার যুব সমাজ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে এ নিয়ে মায়ের পাল্টা অভিযোগ ও রযেছে।
জানা যায় বালিয়া ইউনিয়নের গুলিশা গ্রামের ৮নং ওয়ার্ডে মুত আব্দুল কুদ্দুছ গাজীর স্ত্রী আলেয়া সুলতানা নাহারের সাথে ৮নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার আঃ হামিদ ভুঁইয়ার সাথে পরকিয়া রয়েছে বলে ছেলে রায়হান হোসেন শিশির গাজী জানান, হামিদ ভুঁইয়া দীর্ঘদিন তাদের বাড়িতে কারনে অকারনে এসে তার মায়ের সাথে পরকিয়ায় আশক্ত হন। প্রতিনিয়তই হামিদ ভুঁইয়া তাদের বাড়িতে আনাগোনা থাকায় এলাকাবাসীসহ তার মনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে মায়ের পরকিয়ার বিয়টি ছেলে শিশির বুঝতে পেরে মায়ে সে পথ থেকে ফেরানোর চেষ্টা করেন ব্যার্থ হন। উল্টো তার বিরুদ্ধে নানাহ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে শিশির জানান।
এ বিষয়ে রায়হান হোসেন শিশির বলেন, আমি দেড় বছর প্রবাসে ছিলাম, প্রবাস থেকে বাড়িতে এসে মেম্বারের সাথে মায়ের পরকিয়া চলছে বুঝতে পারলাম, এ নিয়ে মায়ের সাথে আমার দ্বন্ধ শুরু হয়। মা, মেম্বার এবং আমার ছোট ভাই মিলে আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করেন। মায়ের অনিয়ের প্রতিবাদ করায় আমি বাড়ি ছাড়ার উপক্রম হয়েছে।
এ বিষয়ে মৃত কুদ্দুছ গাজীর স্ত্রী আলেয়া সুলতানা নাহার বলেন, আমার ছেলে একজন মাদকা সক্ত, নেশার টাকা না দিলেই আমার উপর হামলা করতে চলে আসে, বাড়িতে কয়েকবার হামলা করে ঘরের বেড়া ভাংচুর করেন, এখনো সে বেড়া ভাংচুর রয়েছে। তাকে সম্পত্তি বিক্রি করে বিদেশে পাঠিয়েছিলম, কিন্তু বিদেশে গিয়ে সে কোন টাকা পয়সা আমাকে না দিয়ে বাড়িতে চলে আসে। এসেই সংসারে অশান্তি শুরু করেন।
এ বিষয়ে মৃত কুদ্দুছ গাজীর ছেলে রায়হান ইসলাম জুম্মান গাজী বলেন আমার বড় ভাই সংসারে অশান্তির জন্য মায়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে যাচ্ছেন, তার অপপ্রচারের কারনে আমাদের সামাজিক ভাবে অনেক ক্ষতি হয়েছে। রাজকামের জুগালি দিয়ে সাংসার চালাচ্ছি, মা বোনকে নিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছি, কিন্তু বড় ভাই আমাদের শান্তিতে বসবাস করতে দিচ্ছেনা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মেম্বার হামিদ ভুঁইয়া বলেন, একটাচক্র আমার বিরুদ্ধে সরযন্ত করে অপপ্রচার করে যাচ্ছে, যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তা সঠিক নয়, আমি জনপ্রতিনিধি, আমাকে দিয়ে দিয়ে অনিয়ম কাজ হওয়ার প্রশ্নই আসেনা।
এলাকার পিতা আনোয়ার পাটওয়ারী ছেলে শামীম, হারুন গাজী মামুন, রফিক মিয়াজী রিয়াদ মিজি, মিন্টু গাজী নয়ন গাজী, দেলোয়ার গাজী রাকিব গাজী বলেন কুদ্দুছ গাজীর স্ত্রীর পরকিয়া এলাকায় সর্ব মহলে এখনো প্রতিনিয়তই আলোচনা হচ্ছে, তাদের অনৈতিক কর্মকান্ডের কারনে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি। আমরা এ সঠিক বিচার চাই।
এ ছাড়া ও এলাকাবাসী অভিযোগ করেন মেম্বারের কাছে বিভিন্ন কার্ডের জন্য গেলে সে গালমন্দ ও নারীদের কুপ্রস্তাব দেন। এটা থেকে পরিত্রান চায় ওয়ার্ডবাসী।