গোলাম সারওয়ার সেলিম : চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ নুরুল আমিন রুহুল বলেছেন, একমাত্র শেখ হাসিনা সরকারই যখন যা প্রতিশ্রুতি দেন তা সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন করেন।
জনগণের প্রত্যাশা পুরণ করছে বিধায় আজ আওয়ামী লীগ সারা বিশ্বের কাছে জনপ্রিয় দল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এটা কোন বিএনপি,জামায়াত নয় যে জনগনের সাথে শুধু তামাশাই করবে আর প্রতারণা করবে। সারা বাংলাদেশের ৫৬৪ টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের চতুর্থ পর্যায়ে ৫০ টি মসজিদের উদ্ধোধন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন শেখ হাসিনা।
চতুর্থ পর্যায়ে সারা দেশে আরও ৫০টি মডেল মসজিদসহ এ নিয়ে সর্বমোট ২০০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৭ এপ্রিল গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নবনির্মিত এসব মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া এবং সিলেটের বিশ্বনাথের মডেল মসজিদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইমাম, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ মুসল্লিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ নুরুল আমিন রুহুল এমপি একথাগুলো বলেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএইচএম কবির আহমেদ, মতলব পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আওলাদ হোসেন লিটন।
নিজস্ব অর্থায়নে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার।
এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে ২০২১ সালের ১০ জুন প্রথম ধাপে ৫০টি, চলতি বছরে ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৫০টি এবং গত ১৬ মার্চ তৃতীয় ধাপে ৫০ মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। চার ধাপে এখন পর্যন্ত মোট ২০০টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন করেছেন শেখ হাসিনা।
আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত সুবিশাল এসব মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে নারী ও পুরুষদের আলাদা ওজু এবং নামাজ আদায়ের সুবিধা, লাইব্রেরি, গবেষণা কেন্দ্র, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, পবিত্র কুরআন হেফজ বিভাগ, শিশু শিক্ষা, অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের আবাসন, মরদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ, ইমামদের প্রশিক্ষণ, অটিজম কেন্দ্র, গণশিক্ষা কেন্দ্র, ইসলামী সংস্কৃতি কেন্দ্র থাকবে। এছাড়া ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা ও গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা রাখা হয়েছে।
৪০ শতাংশ জায়গার ওপর তিন ক্যাটাগরিতে মসজিদগুলো নির্মিত হচ্ছে। জেলা পর্যায়ে ৪ তলা, উপজেলার জন্য ৩ তলা ও উপকূলীয় এলাকায় ৪ তলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতি কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকার মসজিদগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে নিচ তলা ফাঁকা থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেনু দাস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমিন আক্তার, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রকিবুর রহমান, মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইদুল ইসলাম, গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এসএম রফিকুল হাসান, ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোঃ রুহুল আমিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ লিয়াকত হোসেন প্রধান, জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন প্রধান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মহিব উল্যাহ সৌরভ, উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন, বিআরডিবির চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন,
মতলব প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি গোলাম সারওয়ার সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ মল্লিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র দাস,ফজলে রাব্বি ইয়ামিন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেদওয়ান আহমেদ জাকির, সম্মানিত সদস্য আশরাফুল জাহান শাওলিন, সমির ভট্টাচার্য বলু নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান মোল্লা, উপাদী উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহীদুল্লাহ প্রধান, খাদেরগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন,
মতলব পৌরসভার কাউন্সিলর আবুল বাশার পারভেজ, কাউন্সিলর সারোয়ার সরকার লিখন, কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম মোহনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, দলীয় নেতৃবৃন্দ, সাংবাাদিকবৃন্দ ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
পরে মসজিদের ফলক উন্মোচন করা হয়। ফলক উন্মোচন শেষে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন উপজেলা মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মোরশেদুল আলম সিরাজী।