স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে ইসলামিয়া পরিবহন নামে একটি মালবাহী ট্রলারের ডাকাতির ঘটনা অবশেষে ফাঁস হয়েছে। ট্রলার ডাকাতির সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদের নাম প্রকাশ পেয়েছে।
ঘটনার পর থেকেই মূল হোতারা পালিয়ে রয়েছে তবে পুলিশ তাদেরকে ধরার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
চাঁদপুর বিষ্ণুপুর কানদী বাজার গোলাপ পাটোয়ারীর গোডাউন থেকে চিনি উদ্ধার করে মালের প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
রবিবার বিকেলে চাঁদপুর মডেল থানার ওসি আব্দুর রশিদ জব্দকৃত চিনিগুলো হস্তান্তর করেন ও বাকি মালামাল গুলো উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।
ইসলামিয়া মালবাহী টলার মালিকসহ সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাত দলরা ৬৪০ বস্তা চিনি ও ৩৬০ ড্রাম সয়াবিন তেল ডাকাতির পর পাচার করে দেয়। ডাকাতি হওয়া ৪০ ড্রাম তেল দাউদকান্দি আশিশ ভান্ডার থেকে উদ্ধার করে দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশ। এছাড়া ১৩৬ বস্তা চিনি চাঁদপুর বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কানুদি গোলাপ পাটোয়ারীর গোডাউন থেকে উদ্ধার করে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ।
রুপগঞ্জ থানা রূপসী সিটি মেল থেকে ইসলামিয়া পরিবহন নামে ট্রলারটিতে চিনি ২৫৬০, ময়দা ৭২০, সয়াবিন ও পামওয়েল ৬৪৫ ড্রাম তেল খুলনা যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে মতলব উত্তর ষাটনল এলাকায় সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাত চক্ররা মালবাহী ট্রলারটি দাউদকান্দি এলাকায় নিয়ে ৩৬০ ড্রাম তেল প্রচার করে। পরবর্তীতে সেই ট্রলার সেখান থেকে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের লালপুর ও কানুদি এলাকায় এনে ৬৪০ বস্তা চিনি নামিয়ে রাখে।
বিষ্ণুপুর ২ নং ওয়ার্ডের ইদ্রিস বেপারী অভিযোগ করে বলেন, টলার মালিক বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কানুদি আজিজ ব্যাপারীর ছেলে কাদের বেপারী, শরীয়তপুর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের নাসির আখন্দের ছেলে আলমগীর আখন্দ ও কানুদি মিয়ার বাজারের মৃত মন্নান বেপারীর ছেলে গোলাপ পাটোয়ারী যৌথভাবে ট্রলার থেকে চিনি পাচার করে অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। এছাড়া এই সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত রয়েছে আজাদ পাটোয়ারী, সেলিম খান ও ইউপি মেম্বার।
তাদেরকে আটক করলেই প্রকৃত ডাকাতির ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।