স্টাফ রিপোর্টারঃ চাঁদপুর সদর উপজেলা আশিকাটি ইউনিয়নের ৮নংওয়ার্ড দক্ষিণ পাইকাস্তা আলম মালের বাড়ির মোঃ জাকির হোসেন মাল এর স্ত্রী সকিনা বেগম কল্পনা এর বিরুদ্ধে এলাকায় রয়েছে মামলা করে হয়রানি করার একাধিক অভিযোগ উঠেছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মোঃ জামাল মাল জানান আমার নামে এই মহিলা হয়রানী মুলক দুইটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে পরে থানায় বসে । আমার অপরাধ প্রমাণ করতে না পেরে থানা থেকে এনিয়ে আর কোন বাড়ারাড়ি না করতে বলা হয়।
একি এলাকার প্রতিবেশি জামাল কাজীর স্ত্রী হাসিনা বেগম জানান গত বছর আমার ঘরে ডুকে অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটাইতে চাইলে আমরা তাকে ঘর থেকে বের করে দেই পরে সে থানায় গিয়ে আমার নামে মারামারির মামলা করে। পরে থানা থেকে আমাকে ডেকে নিয়ে আমার কোন অপরাধ না পেয়ে থানা থেকে দূই পক্ষ কে মারামারি না করার সর্তে মামলা নিস্পত্তি করে।
একি এলাকার মোঃ শামসুল হক গাজীর মেয়ে ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রিনা বেগম জানান সে একটি ছেলের বিরুদ্ধে মেয়ে দিয়ে মিথ্যা মামলা করলে আমি ছেলের পক্ষে সাক্ষী দেই এই অপরাধে সে ঐ মামলায় আমাকেও আসামী করে।
চাঁদপুর মডেল থানা থেকে এস আই কফিল উদ্দিন মোবাইলে আমাকে জানায় আপনাকেও ঐ মামলায় আসামি করা হয়েছে। কি কারনে আমাকে আসামি করা হয়েছে জানতে চাইলে বলেন আমি আইনের লোক আমি মামলার তদন্তে গেলে আপনি উল্টাপাল্টা কথা বলার কারনে। আপনাকে আসামি করলে মামলার সমাধান করতে সহজ হবে।
তিনি আরো জানান এই মহিলার মেয়ের জামাইও তার করা মামলা থেকে রেহাই পায়নি। একি এলাকার কামাল মাল বলেন এই মহিলা ভালো না । একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই মহিলা থানায় গিয়ে সাতজনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করে।
ঐমামলায় আমাকেও আসামী করা হয়। পড়ে থানায় বসে ৪৩ হাজার টাকার মাধ্যমে তা মিমাংসা করা হয়। একেই এলাকার মোঃ মোস্তফা মালের স্ত্রী সাথী বেগম জানান এই মহিলা শিশু বাচ্চাদেরকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে। শিশুদের অভিভাবক প্রতিবাদ করলে মহিলা বাজে গালমন্দ করে।
সবাইকে থানা পুলিশের ভয় দেখায়।গত কয়েক দিন আগেও সে আমার মেয়ের উপর হামলা করে। আশিকাটি ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার কাজী তোফাজ্জল হোসেন বলেন মহিলাটি এলাকার মুরব্বিদের কোন তোয়াক্কা করেনা। থানা পুলিশের সাথে তার ভালো সম্পর্ক আছে বলে সবাইকে সে হুমকির ভিতর রাখে।
এ বিষয়ে আশি কাটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন পাটওয়ারীর সাথে জানতে চাইলে তিনি বলেন একটা মানুষের সাথে কি সারাদিন মানুষ লেগে থাকে। আমি যা বুঝি এই মহিলার এটা একটা ব্যবসা। এ বিষয়ে মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চাঁদপুর মডেল থানার সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) কফিল উদ্দিন এর কাছে জানত চাইলে তিনি জানান প্রথমে ৯৯৯ এ কাজী মনিরের মোবাইল থেকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা থেকে আমাকে সেখানে দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়।
আমি আইনের সেবক আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নিয়েছি এর বেশি কিছু না। আর যেহেতু আমি ঐ এলাকার দায়িত্বে আছি তাই ঐ এলাকার অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করি। আমার বিরুদ্ধে রিনা বেগমের অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। উল্লেখিত অভিযোগগুলোর বিষয়ে সকিনা বেগম কল্পনার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান ভাই মূলত সম্পত্তিগত বিরোধ নিয়ে আমার সাথে বিরোধ ।
মূল ঘটনা হচ্ছে আমাদের ০৪ জনের মালিকানা জমির ০৩ জন ওদের কাছে জমি বিক্রি করে দেয়। আমি আমার জমির অংশ বিক্রি করতে অপারগতা প্রকাশ করায় ওরা আমাকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করছে ও আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নেই।