স্টাফ রির্পোটার: চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ফাতেমা বেগম (৩০) নামে এক মহিলার উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ফাতেমা বেগম উপজেলার মেহের উত্তর ইউনিয়নের খনেশ্বর গ্রামের পন্ডিত বাড়ীর সেলিম মিয়ার স্ত্রী। এঘটনায় ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে শাহরাস্তি মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ফাতেমা বেগমের স্বামী সেলিম মিয়ার সাথে তার সহোদর সাহিদ গংদের সাথে জমিজমা নিয়ে পূর্ব থেকে বিরোধ চলে আসছে।
ঘটনার দিন দুপুরে বাড়িতে নিজের মেয়ে ও শ্বশুর নিয়ে তিনি বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। স্বামী আইনজীবি সহকারী হওয়ায় সেলিম মিয়া ঐসময় চাঁদপুর জেলা জর্জকোর্টে অবস্থান করেছিলো। অভিযোগ থেকে জানা যায় ঐদিন অতর্কিত হামলা চালিয়ে বাড়ির জানালা ও দরজায় ভাংচুর করে বিবাদীগন। হামলাকালে আতংকগ্রস্থ হয়ে ফাতেমা বেগম ও তার মেয়ের চিৎকার করতে থাকলে এসময় আশে পাশের বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারী সাহিদ গংরা সটকে পড়েন।
এবিষয়ে সেলিম মিয়া (ফাতেমার স্বামী) অভিযোগ করে বলেন, আসামীরা আমার পরিবারের উপর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী হামলা করেছে। মূলতঃ জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারনে আমার ভাইয়েরা প্রায় সময় আমাকে বিভিন্ন সময় শারীরিকভাবে নাজেহাল করার চেষ্টা করলেও এবার প্রাণ নাশের মতো ঘটনা ঘটাতে চেয়েছিলো। ভবিষৎতেও তারা আমার পরিবারের যে কোন প্রাণনাশ সহ বড় ধরনের ঘটনা ঘটানোর প্রকাশে হুমকি ধমকি দেয়ে আসছে। আমি প্রশাসনের ও আমাদের এমপি মহোদয়ের সু-দৃষ্টি কামনা করে সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
সাহিদ উল্লাহ বলেন, সেলিম মিয়া আমার আপন ভাই। জমি সংক্রান্ত বিরোধের কথা স্বীকার করে তিনি আরও বলেন, আমি হামলার দিন এলাকায়ই ছিলাম না। আমি অটো চালক, সারাদিন অটো চালাই। সেদিন আমি আমার বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। ঘটনার সময় আমি উপস্থিত না থাকলেও আমাকে ফাঁসাতে মিথ্যা-বানোয়াট অভিযোগ করে আমাকে নাজেহাল করতে সেলিম ও তার পরিবারের এই ডাহা মিথ্যা মামলা করেছে।
এবিষয়ে মেহের উত্তর ইউনিয়নের চেয়্যারম্যান জহিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। উভয় পক্ষের দীর্ঘদিনের জমিজমা নিয়ে বিরোধ অমীমাংশিত। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীর বিচার হউক।
এবিষয়ে শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শহীদ হোসেন বলেন, হামলার ঘটনা নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত সাপেক্ষে পুলিশ এবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।