এস. এম ইকবাল ফরিদগঞ্জ : চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে ইমাম হোসেনকে শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার তাকে আটক করা হয়।
ইমাম হোসেন ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার পশ্চিম বড়ালী দারুসসুন্নাত মডেল মাদরাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক। তার বাবার নাম মাওলানা আবদুল জব্বার।
জানা যায়, নির্যাতিত ছাত্রটি ওই মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। মাদরাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক ইমাম হোসেন এর কাছে তারা কয়েকজন প্রাইভেট পড়ে। প্রাইভেট পড়ানো হয় প্রতিষ্ঠানের একটি শ্রেণিকক্ষে।
ঘটনার দিন পড়া শেষে ঘটনার শিকার শিশুকে রেখে অন্যদের আগে ছুটি দেয়া হয়। এরপর, দরজা আটকিয়ে শিশুর সাথে যাবতীয় অনৈতিক কাজ ও বলাৎকার করা হয়। ঘটনার পর শিশুকে নানা কথা বলে বাড়ি যেত বলেন অভিযুক্ত ইমাম হোসেন। শিশু বাড়ি গেলে তাকে বিষন্ন দেখেন তার মা। জিজ্ঞেস করলে মা’র কাছে ঘটনা খুলে বলে। শিশু জানায় এর আগেও দুইদিন তার সঙ্গে একই কাজ করা হয়েছে। এ সব ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য শাসানো হয়েছে। এমন কি প্রাণনাশেরও হুমকি প্রদান করে বলে জানিয়েছে শিশুর বাবা-মা।
এই নিয়ে শিক্ষার্থীর মা মোসাঃ নাজমা বেগম থানায় বাদী হয়ে ২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার অপর আসামি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা হেলাল উদ্দিন পলাতক রয়েছে।
ফরিদগঞ্জ থানার এস. আই আনোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় বুধবার রাতে ওই ছাত্রের মা নাজমা বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার ভিত্তিতে মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করে পুলিশ। অভিযুক্ত শিক্ষককে আজ বৃহস্পতিবার আদালতে প্রেরণ করা হয় এবং মামলার অপর আসামি পলাতক রয়েছে।
পাশাপাশি নির্যাতিত ছাত্রকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।