স্টাফ রিপোর্টার : নৌ পুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেছেন, জাটকা সংরক্ষণের অভিযান গত ১ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে এবং আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।
এই সময়ের মধ্যে দেশের ৫টি প্রধান অভয়াশ্রমে কোন ধরণের মাছ ধরার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আমাদের নৌ পুলিশ দিন ও রাত ২৪ ঘন্টা অনবরত কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের চাঁদপুর অঞ্চলে গত ১মাস আইন অমান্য করে যারা মাছ শিকার করেছে এমন ৬০০জনকে আটক করেছি। তাদের বিরুদ্ধে ৮০টির অধিক মামলা করা হয়েছে।
৩০টির অধিক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। এসময়ে ৬ কোটি মিটারের অধিক কারেন্টজাল উদ্ধার করা হয়েছে। ১৩৯টি জেলে নৌকা মাছ ধরা অবস্থায় জেলেদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে অভয়াশ্রম এলাকায় নৌ পুলিশের বিশেষ অভিযান পরিচালনা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
এসপি বলেন, আজকের অভিযানের তথ্য হচ্ছে আজকে আমাদের ৬ ইউনিট কাজ করেছে পদ্মা-মেঘনা নদীতে। এই অভিযানে ১ কোটি মিটার কারেন্টজাল উদ্ধার করেছি। ৪২ জন জেলে আটক হয়েছে। এসব জেলেদের কাছ থেকে ৫শ’ কেজি জাটকা জব্দ করেছি। এই সংক্রান্ত ঘটনায় ৯টি মামলা করা হবে।
অভিযান চলাকালীন সময়ে জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ নেই এমন প্রশ্নের জবাবে এসপি বলেন, আসলে পদ্মা-মেঘনা নদী হচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা। এই বিস্তীর্ণ এলাকা আমাদের যে পরিমান জনবল ও লজিস্ট্রিক সাপোর্ট রয়েছে তা দিয়ে একসঙ্গে নজরদারীতে রাখা অসম্ভব। বিশেষ করে রাত্রি বেলায়। টস লাইট দিয়ে কতটুকু নজরদারিতে আনতে পারবেন।
অর্থাৎ আমরা ১ থেকে সোয়া কিলোমিটার দেখতে পারব। কিন্তু এখানে পদ্মা-মেঘনার মোহনা এপাড় থেকে ওপাড় ১৫ কিলোমিটার। আমাদের একটি ইউনিট এই প্রান্তে থাকলে অপরপ্রান্তে কি হচ্ছে সেটা আসলে জানাযায় না। কিন্তু নৌপুলিশ যখন যায়, তখনই তাদেরকে (জেলেদের) হাতে নাতে আটক করে। সে কারণেই এত সংখ্যক আটক হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং আমাদের এই কাজ অব্যাহত আছে।
অভিযানে নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন শিকদার, চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামানসহ চাঁদপুর নৌ অঞ্চলের পুলিশ ফাঁড়ির ইনার্চজগণ উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে নৌ পুলিশের প্রায় অর্ধশতাধিক সদস্য অংশগ্রহন করে।