সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী : ইলিশের পোনা সংরক্ষণে চাঁদপুরের পদ্ম-মেঘনায় দু’মাস নদীতে চলছে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা। ইতোমধ্যে নিষেধাজ্ঞার এক মাস ৪ দিন অতিবাহিত হয়েছে। চাঁদপুরে জাটকা রক্ষায় নৌ-পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেছে।
এতে এক কোটি মিটার কারেন্ট জাল জব্দ , ৫০০ কেজি ইলিশের পোনাসহ ৪২ জন জেলেকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনায় নৌ-পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে ৬টি ইউনিটের অর্ধশতাধিক পুলিশ নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
এছাড়া চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের সীলারচর এলাকায় একটি অস্থায়ী মৎস্য আড়ত উচ্ছেদ করা হয়। এই অভিযানে ৯টি মৎস্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে এবং ইলিশের পোনাগুলো বিভিন্ন এতিমখানা ও অসহায়দের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়াও কোস্টগার্ড, মৎস্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসন পালাক্রমে নদীতে অভিযান পরিচালনা করছে। নদীতে যেন কোনো জেলে জাল নিয়ে নামতে না পারে, সে জন্য কঠোর নজরদারি রাখছে। তারপরও এক শ্রেণির অসাধু জেলে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে অবাধে ইলিশের জাটকা নিধন করছে।
নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান জানান, চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় মার্চ-এপ্রিল মাসজুড়ে নৌ-পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে। অভিযানে নৌ-সীমানার বিভিন্ন স্থান থেকে গত একমাসে ৬০০ জন জেলেকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ৬ কোটি মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। ৮০টি মামলায় ৩০টির মত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জেলেদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়।
চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ষাটনল থেকে হাইমচর চর ভৈরবী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার পদ্মা-মেঘনা নদীতে অভয়াশ্রমে শুধু ইলিশ নয়, সব ধরনে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এতে করে চাঁদপুরের অর্ধলক্ষাধিক জেলে বেকার হয়ে এখন জীবন যাপন করছেন। তবে এদের মধ্যে চাঁদপুরে ৪৪ হাজার ৩৫ জন জেলে সরকারি নিবন্ধনকৃত। যারা সরকারি সহায়তা ও সকল সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে।