আইনজীবী সহকারী সালামতের মৃত্যুর ঘটনায় আসামীর ফাঁসির দাবি

স্টাফ রিপোর্টার : বিয়ে করেছে মাত্র এক বছর হলো ছয় মাসের অন্তঃসত্তা স্ত্রী কিন্তু চাচার সাথে মাত্র ২ শতাংশ সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের কারণে চলে যেতে হল অকালে দুনিয়া ছেড়ে মেনে নিতে পারছে না পরিবারের সজনরা কোনভাবেই।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নে শনিবার সকালে ঘর উঠানোর জন্য ভিটা জমিতে বালু ভরাটকে কেন্দ্র করে চাচা কাউছারের এক ঘুষিতে আইনজীবী সহকারী ভাতিজা সালামত (৩৪) এর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে।

ঘটনার পরেই অভিযুক্ত চাচা কাউসারকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। আইনজীবী সহকারী সালামতের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত চাচার ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন চাঁদপুরের আইনজীবী সহকারীরা।

মঙ্গলবার চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গনে প্রায় শতাধিক আইনজীবী সহকারি একত্রিত হয়ে এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

নিহত সালামত চাঁদপুর জেলা জজ আদালতের আইনজীবী পবিত্র লাল সরকারের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। গত এক বছর আগে তিনি বিয়ে করেছেন। ঘাতক চাচা কাউছার একই বাড়ীর মৃত আমির হোসেন প্রধানিয়ার ছেলে।

এ ঘটনায় নিহত সালামতের বাবা রবিউল আলম বাদী হাজীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আলমগীর হোসেন জানান, সকালে কাউসার ঘর উঠানোর জন্য বাড়ীর সামনের গর্তে বালু ভরাটের কাজ শুরু করেন। ওই সময় তার বাড়ীর সম্পর্কে ভাতিজা সালামত এসে জিজ্ঞাসা করে কেন বালু ভরাট করা হচ্ছে। এই নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে কাউছার সালামতের পেটে ঘুষি মারে। ঘুষির প্রচন্ড আঘাতে ঘটনাস্থলেই সালামত লুটিয়ে পড়ে। সেখান থেকে তাকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. তামীম বলেন, সালামতকে হাসপাতালে আনার পূর্বেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সালামতের পিতা রবিউল আলম বলেন, সকালে আমার ছেলে চাঁদপুর থেকে বাড়ীতে এসেছে টাকা নেয়ার জন্য। পরে সকালে দেখেন সকালে কাউছার বাড়ীর সামনে বালু দিয়ে জায়গা ভরাট করছে। । তাদের সাথে আমাদের সম্পত্তি বন্টন হয়নি। বালু ভরাটের জায়গা নিয়ে কোন সমস্যা নেই। জায়গা নিয়ে তাদের সাথে উচ্ছেদ মামলা আছে। কিন্তু কাউছার আমাদের সাথে কোন কথা না বলে রমজান মাসে আমার ছেলেকে এভাবে মেরেছে, সে আর বেঁচে থাকতে পারল না। আমি প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই এবং তার ফাঁসি চাই।

সম্পর্কিত খবর