হাজীগঞ্জে বীর মুক্তিযুদ্ধার পুকুরের ঘাটলা গেলো নয়া চেয়ারম্যানের বাড়ীতে

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর জেলা পরিষদের অধীন হাজীগঞ্জে নতুন ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ীর পুকুরে এখন দুইটি পাকা ঘাটলা। একটা নতুন, আরেকটা পুরোনো।

নতুন নির্মিত ঘটলাটির ন্যামপ্লেটে লেখা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু তাহের এর বাড়ীর সামনে গণঘাটলা নির্মাণ’। বিপত্তি বাঁধে ন্যামপ্লেট বসানোর পর। যেই বাড়ীতে ঘাটলাটি নির্মিত হয়েছে, সেই বাড়ী এটি নয়। এটি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার দ্বাদশগ্রাম ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান আবু তাহের প্রধানীয়ার বাড়ী। আর বরাদ্দটি ছিল ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু তাহের এর বাড়ীর সামনে গণঘাটলা’। কার ইশারায় নতুন চেয়ারম্যান শপথ গ্রহণ না করতেই নিয়ে গেলো বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ীর ঘটলা। জনমনে এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিরূপ মন্তব্য।

সরজমিনে গিয়ে দেখা মিলল, নির্মিত ঘটলার এখনো সাটারিং খোলা হয়নি। আবু তাহের নামে দুই ব্যাক্তিই ইছাপুরা গ্রামের বাসিন্দা। একজন নতুন চেয়ারম্যান আরেকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। নির্মিত ঘাটলাটির কাজ এখনো শেষ করেনি ঠিকাদার। ন্যামপ্লেট বসানোর পর শুরু হয় সরগোল। কার বাড়ীতে গেলা কার ঘটলা?

জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যানের বাবা নুরুল ইসলাম প্রধানীয়া বলেন, ঠিকাদার এসে আবু তাহের প্রধানীয়ার বাড়ীর কোনটা জানতে চেয়েছে। তখন তিনি জায়গা দেখিয়ে দেন। সবাই নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিল। ন্যামপ্লেট বসানোর পর সেখানে লেখা বীরমুক্তিযোদ্ধা। আমার ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা না।

বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু তাহের বলেন, গেল বছরের ২ এপ্রিল জেলা পরিষদের কাছে তিনি একটি পাকা ঘাটলার জন্য আবেদন করেন। গত ৩/৪ দিন ধরে জানতে পারেন নতুন চেয়ারম্যানের বাড়ীতে একটি পাকা ঘটলা নির্মিত হয়েছে। সেটিতে তার নাম লেখা। তিনি ইতোমধ্যে জেলা পরিষদের কাছে এটি মৌখিক অভিযোগ করেছেন বলে জানান।

নব-নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের প্রধানীয়া মুঠোফোনে বলেন, ঘটলাটি নির্মাণের সময় আমার জানা ছিল না। আমি বাড়ীতে থাকি না। মা-বাবা ও ভাইয়েরা থাকেন।

ঘটলাটি কার ইশারায় সঠিক স্থানে নির্মিত হয়নি জানতে চাইলে এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবী করেন।

চাঁদপুর জেলা পরিষদের ২০২২-২৩ অর্থ বছরের অর্থায়নে গণঘটলাটি নির্মিত হয়। জেলা পরিষদের প্রকৌশলী মো. ইকবাল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, এটা একটা মিসটেক হয়েছে। আমরা পদক্ষেপ নিবো। ঠিকাদারের এখানে দোষ নাই। দোষ হলো যারা তথ্য দিয়েছে, তাদের দোষ। মুলত অপরাধটা করেছে ওই চেয়ারম্যানের বাবা। তিনি ঠিকাদারকে ভুল তথ্য দিয়েছেন।

তিনি আরো জানান, এখন ওই ঘাটলাটিতো আর ভাংগা যাবে না। আমরা ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ীতে একটি নতুন ঘটলা বরাদ্দ দিবো।

সম্পর্কিত খবর