চাঁদপুরে ইজিবাইক সমিতির সম্পাদক ফজলুল কাদেরের কান্ড

বিশেষ প্রতিনিধি : চাঁদপুরে ইজিবাইক মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক ফজলুল কাদের প্রতারনা মুলক কান্ড করে একজন মালিকের বাইক বিক্রির টাকা প্রায় ৪মাস যাবৎ না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শহরের পুরানবাজার বাকালিপট্রির ইজিবাইক মালিক আব্দুল লতিফ মিয়ার সাথে প্রতারনা করে তার ইজিবাইক বিক্রি করা টাকা না’দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেওয়ায় সে জ্ঞান হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ্এর পর সে গত ৩দিন যাবৎ ঢাকা স্কায়ার হাসপাতালে জ্ঞান হারিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে লতিফ মিয়ার পরিবার থেকে জানা গেছে।

এ ঘটনাটি গত প্রায় ৪মাস পূবে ঘটলেও বুধবার(২৯মার্চ) বিকেলে ইজিবাইক মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক ফজলুল কাদেরের কাছে বাইক বিক্রির টাকা চাইতে গিয়ে তিনি টাকা না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদর্শন ও তালবাহানা করায় অসুস্থ লতিফ মিয়া দুরচিন্তায় হার্ট এটাক হয়ে ঐদিন রাতেই মারাত্বক অসুস্থ হয়ে পড়ে।

পরে তাকে স্থানীয় প্রিমিয়ার হাসপাতালে রাতে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার পরিবর্তন না’হওয়ায় তাকে কর্তব্যরত ডাক্তার মোবারক হোসেন চৌধুরী, লতিফ মিয়াকে রাতেই ঢাকায় রেফার্ড করেন। রাতে তাকে ঢাকা নেওয়ার পথে সে দাউদকান্দি নামক স্থানে গিয়ে আরো মারাত্বক অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে মুখ দিয়ে তিনি লালা ছেড়ে দিয়ে মৃত্যু পথের যাত্রী হয়ে পড়েন।

সেখানে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে তাকে চিকিৎসা দিয়ে গভীর রাতে ঢাকায় নিয়ে কলা বাগান্থ স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করে হাসপাতলের তৃতীয় তালায় এনসিসিইউতে অক্রিসিজেন ও হার্টে বিভিন্ন সাপোর্ট দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এ রিপোট লেখা পর্যন্ত লতিফ মিয়ার স্ত্রী রেশমি বেগম জানান,এখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা বোড বসিয়ে জানিয়েছেন, লতিফ মিয়ার অবস্থা আশংকাজনক। তাকে এখানে উন্নত চিকিৎসা দিয়ে জ্ঞান ফিরিয়ে আনার চেস্টা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে লতিফ মিয়া বুধবার(২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় জ্ঞান হারানোর পূর্বে জানিয়েছেন,আমি ফজলুল কাদেরের মাধ্যমে একটি পুরাতন ইজিবাইক কিনেছি,৮০ হাজার টাকায়। সেটি মেরামত করার জন্য দিয়েছি আরো ২০ হাজার টাকা। সেটি সে বলেছে বিক্রি করে আমাকে ২০/৩০ হাজার টাকা লাভ করে দিবে। প্রায় ৪মাস হয়েছে,সে আমার সাথে দেখা করে না। বরং বিভিন্ন তালবাহানা করছে আমার ইজিবাইক বিক্রির টাকা আত্রসাত করার জন্য।

(বুধবার ২৯মার্চ) বিকেলে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকা দেওয়ার কথা না বলে বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে যোগাযোগ করবেন বলে তালবাহানা করছে। এতে বুঝা যাচ্ছে সে আমার টাকা দিবেনা। আমার টাকাটা পাওয়ার কোন উপায় আছে কিনা সে ব্যাপারে তিনি পরামর্শ চান।

এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা ইজিবাইক মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক ফজলুল কাদের জানান,লতিফ মিয়ার সাথে আমার অনেক পূর্ব থেকে পরিচিত। তার সাথে আমার জায়গা জমির জামেলা রয়েছে। সে আমার মাধ্যমে ৬০ হাজার টাকায় একটি পুরাতন ইজিবাইক ক্রয় করেছে। যা’একে বারে স্কেরাফ ইজিবাইক। সেটি মেরামত করার জন্য ২৫ হাজার টাকা দিয়েছে। এ টাকা দিয়েছে ২০২২সালের ডিসেম্বরে। আমি থাকি শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের মেয়রের বাড়ির পার্শ্বে। আমি বাইকটি ঠিক করে বিক্রি করে ফেলেছি। তিনি আমাকে বলেছেন,১লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কিছু বেশী বিক্রি করে তাকে দেওয়ার জন্য।

গত ৯মার্চ টাকার দেওয়ার জন্য তাকে ফোন করে তার মোবাইল বন্ধ পেয়েছি। গত ৩দিন আগেও ফোন করে তাকে পাইনাই। পরে পুরানবাজারের শ্রমিক নেতা সেলিমকে দায়িত্ব দিয়েছি,লতিফ ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করার জন্য। তিনি আরো বলেন, গতকাল বুধবার(২৯ মার্চ) তার পক্ষ থেকে এক ব্যক্তি যোগাযোগ করেছে।

আমি জানতে পেরেছি,তিনি রাতে অসুস্থ হয়ে ঢাকা গিয়েছেন চিকিৎসার জন্য। পুরানবাজার ২নং ওয়ার্ডের সভাপতি শওকত ও হানিফ হাওলাদারের মাধ্যমে তার শালা কুট্টির কাছে বৃহস্পতিবার ৮৫ হাজার টাকা পাঠিয়েছি। আমি প্রতারনা করিনি বস। আপনার সাথে দেখা করব্ োরিপোট করার দরকার নাই,আমি আপনাকে মেয়রের মাধ্যমে চিনি।

 

সম্পর্কিত খবর