স্টাফ রির্পোটার : চলতি মৌসুমে চাঁদপুরে সরবরাহ বেড়েছে দক্ষিনাঞ্চলের তরমুজ। পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ইফতারে ফল হিসাবে বিশেষ চাহিদা রয়েছে এই তরমুজের।
প্রতিদিন ১০-১৫ টি ট্রলার করে নদী পথে চাঁদপুর শহরের চৌধুরীঘাটে নিয়ে আসা হচ্ছে তরমুজ। আর সেই তরমুজ চাঁদপুর আড়ৎ হয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলার মানুষের চাহিদা মিটাচ্ছে। তরমুজের সরবরাহ বাড়ায় এখন কর্মব্যস্ততা বেড়েছে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুর শহরের চৌধুরীঘাট এলাকায় গিয়ে দেখাগেছে তরমুজ ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা। মেঘনার সংযুক্ত নদী ডাকাতিয়া হয়ে আড়ৎ এলাকায় আসে বাল্কহেড ও ট্রলার। সেখান থেকে নামানো তরমুজগুলো ভ্যান গাড়ী ও মাথায় করে এনে স্তুপ করা হচ্ছে আড়তে। এরপর হাকডাক দিয়ে পাইকারী ও খুচরা বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, গত কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে তরমুজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যদিও গতবারের তুলনায় এবার তরমুজের দাম কম বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা।
শহরের নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা রায়হান আলম জানান, চাঁদপুরে তরমুজের চাষ না হওয়ায় বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর আমদানি করা তরমুজই তৃষ্ণা মিটাচ্ছে। রমজান মাস হওয়ার কারণে চাহিদা একটু বেশী।
চৌধুরীঘাটের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, সরবরাহকৃত তিন শ্রেণির তরমুজের দাম পৃথকভাবে নির্ণয় করা হয়। বড় আকারের ১০০ তরমুজের দাম ২৬ থেকে ৩০ হাজার টাকা। এছাড়া মাঝারি ধরনের তরমুজের দাম ১৫-১৮ হাজার টাকা। আর ছোট তরমুজ ৮-১০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শ্রমিক ইয়াছিন বলেন, চাঁদপুরে বেশি আসে ভোলার তরমুজ। এছাড়া বরিশালের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চাষীরা নিজ উদ্যোগে ট্রলার করে তরমুজ নিয়ে আসে। জেলায় চাঁদপুর ও হাজীগঞ্জ উপজেলায় তরমুজের বড় দুটো ঘাট রয়েছে। এসব ঘাট থেকে জেলার চাহিদা মিটানোর পর কুমিল্লা, ব্রাহ্মনবাড়িয়া, চট্টগ্রামসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক পথে যাচ্ছে এই তরমুজ।
তরমুজের আড়তদার তারিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, এবারের তরমুজ সন্তোষজনক না। পানিতে নষ্ট হয়েছে কিছু তরমুজ। ফলন বেশি হওয়ায় দাম কিছুটা কম।
চৌধুরীঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক কবির খান বলেন, চৌধুরী ঘাটে প্রায় শতাধিক আড়ৎদার রয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলে হঠাৎ বৃষ্টির পানি ঢুকে তরমুজের ফলন কিছুটা নষ্ট হয়েছে। তবে দাম বিগত বছরের তুলনায় এখন পর্যন্ত কম আছে।