গোলাম সারওয়ার সেলিম ঃ মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদরের ঘোষপাড়া এলাকায় তালাকপ্রাপ্ত স্বামী তার সম্তান ও সাবেক স্ত্রীকে রাতের আধাঁরে পেট্রোল দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় তালাক দেয়া স্ত্রী মাকসুদা আক্তার রেহানা বাদী হয়ে চাঁদপুর আদালতে আগের স্বামী জয়নাল আবেদীন জনিকে প্রধান আসামি করে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে জানা যায়, বিগত ২০০২ সালে কলাদী ঘোষপাড়া গ্রামের খলিলুর রহমানের মেশে মাকসুদা আক্তার রেহোনার সাথে মতলব উত্তর উপজেলার বার হাতিয়া গ্রামের মৃত আফিজ উদ্দিনের ছেলে জয়নাল আবেদীন জয়ের শরা -শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়।তাদের ঘরে তৌহিদুল ইসলাম রুপু(১৭) ও রওনাক আল জামিও নামে দুটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর স্ত্রী মাকসুদা আক্তার রেহেনা জানতে পারে তার স্বামী মাদকাসক্ত লোক।
প্রায় স্ত্রী সন্তানদেরকে কারনে অকারণে মারধর করতো।সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে অনেক অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে প্রায় ১৯ বছর জীবন সংসার করে আসছে। অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় এবং কোন উপায়ন্তর না পেয়ে গত ২০২১ সালের ২৫ আগস্ট মাকসুদা আক্তার রেহানা তার স্বামী জয়নাল আবেদীন জয়কে তালাক প্রদান করেন।
তালাক দেয়ার পর থেকেই সে আরো বেশী উত্তেজিত হয়ে রেহানা ও তার সন্তানদেরকে ক্ষতি করার চেষ্টা করে গত ২৪ ফেব্রুয়ারী রাতে মতলব পৌরসভার কলাদী ঘোষপাড়া এলাকার বাসায় সন্তানেরকে নিয়ে ঘুমিয়ে থাকে মাকসুদা আক্তার রেহানা।
ভোর রাতে বাসার জানালার গ্লাস ভেঙে পেট্রোল ভর্তি প্লাস্টিকের বোতল ছুড়ে। এতে আগুন জ্বলে উঠলে সবাই ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখতে পায় তার তার তালাক দেয়া স্বামী। তাকে কেন তালাক দেয়া হয়েছে সে কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে জীবনে মারিয়া ফেলার হুমকি দেয়। এদিকে তাদের ডাকচিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।পরে মাকসুদা আক্তার রেহানা জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে মামলা করে।এ ব্যাপারে মাকসুদা আক্তার রেহানা বলপন,এর আগেও কয়েকবার তাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল।তার বিরুদ্ধে মাদকেরও মামলা রয়েছে।