সমির ভট্টাচার্য্য : মতলব দক্ষিণ উপজেলায় আব্দুর রব প্রধানীয়া (৭০) নামে এক বৃদ্ধকে তুচ্ছ ঘটনার জেরে পিটিয়ে হত্যা করার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে এলাকায় মানববন্ধন করা হয়েছে।
৫ মার্চ রবিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় উপজেলার দগরপুর এলাকায় ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। নিহত ব্যক্তির পরিবার ও এলাকাবাসী কর্মসূচিটি পালন করেন ।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিপক্ষের হামলায় ওই ব্যক্তি আহত হন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ৫ মার্চ রবিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় উপজেলার দগরপুর এলাকায় মতলব-গৌরীপুর সড়কের পাশে ওই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় সেটি শেষ হয়। এতে বক্তৃতা করেন নিহত ব্যক্তির ছেলে মো. হেদায়েত উল্লাহ ও কাউসার মিয়া, স্বজন মাসুম বিল্লাহ ও তাঁর স্ত্রী ফতেমা আক্তার প্রমুখ। বক্তারা বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে আব্দুর রব প্রধানীয়াকে প্রতিপক্ষ আব্দুর রহমান প্রধানীয়া, তাঁর ছেলে ফয়সাল আহম্মেদ, শাকিল আহম্মেদ, ভাগনে রনি মিয়া, গ্যাস হুমায়ন তার ভাই নুরু মিয়াসহ আরও কয়েকজন লাঠিসোঁটা দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেন। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।
এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ছেলে কাউসার মিয়া বাদী হয়ে ১ মার্চ মতলব দক্ষিণ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকেই গ্রেপ্তার করেনি। এতে তাঁরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ। অবিলম্বে ওই হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বিচারের দাবি জানান তাঁরা। এর অন্যথা হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ারও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তাঁরা।
এ ব্যাপারে মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাইদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় গত বুধবার করা হত্যা মামলার তদন্ত চলছে। গা-ঢাকা দেওয়ায় আসামিদের গ্রেপ্তারে বিলম্ব হচ্ছে। তবে আসামিদের গ্রেপ্তারে আন্তরিক চেষ্টা চালাচ্ছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি একটি যৌথ পুকুরে মাছ ধরা ও বিক্রিকে কেন্দ্র করে আব্দুর রব প্রধানীয়া ও তাঁর প্রতিবেশী আব্দুর রহমান প্রধানীয়া ও তাঁর ছেলেদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আব্দুর রব প্রধানীয়ার ওপর আব্দুর রহমান প্রধানীয়া ও তাঁর লোকেরা লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান। এতে আব্দুর রব প্রধানীয়া গুরুতর আহত হন।
ওই দিন পরিবারের লোকেরা তাঁকে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সেখানে থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান তিনি ।