স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে রাতের আধারে ভাউন্ডারি বেড়ার কয়েক বান টিন খুলে নিয়ে যায় প্রতিপক্ষের ভাড়াটিয়া লোকজন। এতে বাধা দিতে গেলে হামলার স্বীকার হোন স্বামী স্ত্রী। এ বিষয়ে গত পহেলা মার্চ বুধবার মালামাল আত্মসাৎ ও হামলার অভিযোগে ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
থানায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ও সরেজমিন তদন্তে জানা যায়, ফরিদগঞ্জের সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের বদরপুর চৌধুরী মিজি বাড়ীর মরহুম এম এ বারী চৌধুরীর ছেলে রফিকুজ্জামান চৌধুরীর বসত বাড়ীর চারপাশের ভাউন্ডারি টিন সেটের বেড়া ছিল।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১০ টার দিকে একই বাড়ীর মৃত ওবায়েদুল হকের ছেলে ছালেহ আহমেদ ও আমির হোসেন, মনির হোসেনের ছেলে রিয়াদ হোসেন, মৃত আমিজুল হকের ছেলে জসিম উদ্দিন, নারী দস্যু শিরিন বেগম ও সেলিনাসহ অজ্ঞাত একাধিক যুবক মিলে প্রতিপক্ষের মালামাল লুট ও হামলা চালায়। তারা সবাই মিলে একজোট হয়ে প্রতিপক্ষ রফিকুজ্জামান চৌধুরীর বসত বাড়ীর বেড়া দেওয়া টিন ট্রাকে করে নিয়ে যায়। এসময় বাধা দিতে গেলে রফিকুজ্জামান ও স্ত্রী হাবিবার উপর অতর্কিত হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। আর এতে স্বামী স্ত্রী দুইজন শরীলের বিভিন্ন স্থানে রক্তাত্ত যখম হলে হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়।
এ বিষয়ে ভুক্তোভোগী রফিকুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমরা ঢাকায় থাকি। আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তির চারপাশে পূর্বে থেকে টিনের বেড়া দেওয়া ছিল। প্রতিপক্ষের লোকজনেরর সাথে জমিজমা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসতেছে।
উক্ত বিরোধের জের ধরে তারা আমাদের ভাউন্ডারি টিন খুলে নিয়ে যায়। আমি ও আমার স্ত্রী এগিয়ে আসলে আমাদেরকে লাটি, সোটা দিয়ে আঘাত করে। আমার স্ত্রী সাতার জানেনা জেনেও তারা পুকুরের পানিতে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। অনেক কষ্টে তাদের হাত থেকে রক্ষা পাই। এরই মধ্যে কয়েক বান টিন ও ৫ টি সাইন বোর্ড ট্রাকে করে নিয়ে যায়, যার বর্তমান ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা। আমি বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ লোকজনের বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
রফিকুজ্জামানের স্ত্রী হাবিবা বলেন, আমার শুশুরের সম্পত্তি প্রতিপক্ষের লোকজন জোরপূর্বক দখল রাখতে চায়। তারা আমি একজন নারী দেখেও ছাড় দেয়নি। চুল ধরে গলায় ধাক্কা মেরে পানিতে পেলে মারার চেষ্টা করেছে। আমার স্বামীর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমরা এ ধরনের হামলার বিচার চেয়ে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
প্রতিবেশী মহসিন হোসেন বলেন, রফিকুজ্জামান চৌধুরী ঢাকায় থাকেন। বাড়ীর লোকজন তার অধিকাংশ সম্পত্তি এমনিতে ভোগ দখল করে আসছেন। তার মধ্যে বাড়ীর বসতঘরের চার পাশ ও কবরের স্থান এবং বাগানে টিন দিয়ে বেড়া দিয়ে রাখেন। আর এতেই বাড়ীর প্রতিপক্ষের লোকজন একজোট হয়ে টিন অপসারন করে উন্মুক্ত করেছে। রাতের আধারে হামলা চালিয়ে এমন কান্ড ঘটানো ঠিক হয়নি।
মামলার বিবাদী পক্ষ কাউকে না পেয়ে আমির হোসেনের মেয়ে বলেন, বাবা বাড়িতে নেই। তবে আমরা যে স্থান পূর্বে থেকে ব্যবহার করে আসছিলাম সেই স্থানে পাকা দেওয়াল গড়ে তোলেন রফিকুজ্জামান চৌধুরী। ঘটনার সময় আমি ছিলাম না যে কারনে কোন কিছু বলতে পারবো না।