এস এম ইকবাল, ফরিদগঞ্জ: আবু সুফিয়ান সবে মাত্র দলিল লেখা শিখছেন। শুরুতেই করছেন প্রতারনা। পরিচিত জনদের দলিলও করে দিচ্ছেন, তাও আবার অন্যের লাইসেন্স ব্যবহার করে। এর মধ্যে ইব্রাহিম নামে এক ব্যক্তির দলিল করে দিবেন বলে নিয়েছে ২৫ হাজার টাকা।
জমি বিক্রেতাদের কাগজপত্রের ত্রুটির কারনে দলিল সৃজন করা হয়নি। সে কারনে ১৫ হাজার টাকা ফেরত দিলেও বাকি ১০ হাজার টাকা ভূমি উন্নয়ন কর (দাখিলা) টাকা পরিশোধের জন্য রেখে দেয়। কিন্তু ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ না করেই পরিশোধিত রশিদ কম্পিউটারে স্কানিং করে তা বুঝিয়ে দেয় ভুক্তভোগী ইব্রাহিম নামে ওই ব্যক্তিকে। এতেই ঘটে বিপত্তি।
জানাযায়, ভুক্তভোগী ইব্রাহীম দলিল সৃজন করতে না পেরে আদালতে লিখিত অভিযোগ করে, আদালতে সকল কাগজপত্র উপস্থাপন করলে আদালত ভূমি উন্নকর আদায়ের রশিদ চাইলে ইব্রাহীম সুফিয়ানের দেওয়া ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের রশিদ জমা দিলে তার ত্রুটি দেখে পিরিয়ে দেয়।
২রা মার্চ বৃহস্পতিবার দুপরে ইব্রাহীম ওই দাখিলার রশিদ নিয়ে পৌর ভূমি অফিসে আসে কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারকে না পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনারের কাছে কাছে যায়। সহকারী কমিশনার তা অনলাইনে চেক করে দেখেন রশিদটি সঠিক নয়। এ কথা শুনে ইব্রাহিম জ্ঞান হারিয়ে পেলে, পরে সুফিয়ান সম্পর্কে সকল কিছু জেনে কৌশলে তাকে অফিসে ডেকে আনে এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভয়ূমি) আজিজুন নাহার ভ্রাম্যমান আদালতে সুফিয়ানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ সময় জালিয়াতির অপরাধে তার ব্যবহৃত ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন জব্দ করে। পরে জরিমানাকৃত টাকা দিতে পরিশেধের পর মোবাইল ও ল্যাপটই ফেরত দওয়া হয়। জরিমানাকৃত ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ৪০ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া এবং বাকি ১০ হাজার টাকা দিয়ে ইব্রাহিমের ভূমি উন্নয়ন করের টাকা পরিশোধ করা হয়।
এ বিষয়ে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি হাসান রেজা পাটওয়ারী জানান, আবু সুফিয়ান আমার কাছে মাঝে মাঝে কিছু দলিল নিয়ে এস সিজন করে নিত। সে যে এই রকম প্রতারনা করেছে তা আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুন নাহার জানান, প্রতারনার দায়ে আবু সুফিয়ান নামে এক যুবক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়েছে। প্রতারকের কাছ থেকে মুছলেকা রেখে চেড়ে দেওয়া হয়েছে।