শাহ আলম মল্লিক : চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান জাটকা নিধনের সাথে জড়িত অসাধু জেলেদের পাশাপাশি আড়ৎদার,পাইকার ও মদদদাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্হা নেয়া হবে।জেলা প্রশাসন,মৎস্য বিভাগ,নৌ পুলিশ,কোস্টগার্ড,নৌ বাহিনীর জাটকা রক্ষায় পদ্মা-মেঘনায় অভয়াশ্রম অঞ্চলের দিবারাত্রি অভিযান চালানো হবে।
জাটকা কেনাবচা, পাচার রোধে নদীর পাশাপাশি সড়ক পথেও জেলা পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালানো হবে। প্রকৃত মৎস্যজীবীদের জাটকা নিধনের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে,অভিযানের সাথে জড়িত প্রশাসন,মৎস্য বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করতে হবে।কেউ অভিযানকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর ডিল চুড়লে হামলা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্হা নেয়া হবে। আমরা চাইনা জাটকা রক্ষা অভিযানকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও জেলেরা হতাহত হউক।সবার পরিবার পরিজনের কথা ভাবতে।
তিনি আরো বলেন জেলা প্রশাসক হিসেবে জেলা কারাগার পরিদর্শন কালে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের আটককৃতদের সাথে কথা বলে জানতে পারি তারা অধিকাংশ জেলে নয়।তারা রিক্সা চালক,ভ্যান চালক,শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার লোক।তাদেরকে একশ্রেণীর প্রভাবশালী মৌসুমী আড়ৎদার,পাইকার মদদ দিয়ে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা নিধনে নামায়। মোবাইল কোর্টে জাটকা নিধনকালে আটককৃতদের সাজা প্রদানের পাশাপাশি মদদদাতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্হা নেয়া হবে।দেশের ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে জাটকা নিধন প্রতিরোধে সকল শ্রেনী পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
চাঁদপুর জেলায় কার্ডধারী ৪৪ হাজার জেলেদের মাঝে ৪০ হাজার জেলেদের জন্য দুই কিস্তির চাল বরাদ্দ এসেছে এবং বিতরন করা হয়েছে।বাকী জেলেদের জন্য চাল বরাদ্দের জন্য আমি মন্ত্রণালয়ে পত্র পাঠা0বো ও যোগাযোগ করবো।
চাঁদপুরে জাটকা রক্ষায় অভয়াশ্রম কার্যক্রম বাস্তবায়নে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জেলা টাস্কফোর্সের আয়োজনে জনসচেতনতা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ একথাগুলো বলেন।
গতকাল ১ মার্চ সকাল ১০ টায় চাঁদপুর শহরের বড়স্টেশনে পদ্মা-মেঘনায়- ডাকাতিয়ার মিলনস্থলে বঙ্গবন্ধু পর্যটন কেন্দ্র মোলহেডে এ সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে সচেতনতা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান।আরো বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার নৌ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান,চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান,বিএফআরআই চাঁদপুর নদী কেন্দ্রের উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আশ্রাফুল আলম,সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা শাহনাজ,কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লেঃ মাশহাদ উদ্দিন,রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হযরত আলী বেপারী,চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াছ, ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সফিকুল ইসলাম,চাঁদপুর কান্ট্রি ফিসিং বোট মালিক সমিতির সভাপতি শাহ আলম মল্লিক প্রমুখ।
সচেতনতাসভা পরিচালনা করেন সহকারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব রশিদ।সভাশেষে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে মেঘনায় একটি বর্ণাঢ্য নৌ রেলী অনুষ্ঠিত হয়।রেলীতে নৌ পুলিশ,কোস্টগার্ড, নৌ বাহিনী,ফায়ার সার্ভিস, বিএফআরআই ,মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারী ও মৎস্যজীবীরা অংশগ্রহন করেন।