স্টাফ রিপোর্টার : ভুয়া কাবিননামা তৈরি, বাল্য বিয়ের এবং কাবিন নামার উসিল পাল্টে দেয়াসহ নানা অভিযোগ উঠেছে হাইমচর উপজেলার নিকাহ রেজিস্টার কাজী আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে।
এবার তার বিরুদ্ধে জেলা রেজিস্টার বরাবার লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছে ভুক্তভোগী এক পরিবার। ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার চাঁদপুর সদর উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকার মো. রেদওয়ান খান নামে এক ব্যক্তি এ অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগ পত্র থেকে জানা গেছে , রঘুনাথপুর এলাকার আ. গফুর খানের পুত্র মো. রেদওয়ান খানের সাথে ২০২১ সালের ১মার্চ হাইমচর উপজেলার আলগী বাজার মহজমপুর গ্রামের মো. আলমগীর আখনের মেয়ে আখি আক্তারের বিবাহ হয়। এতে উভয় পক্ষের সিদ্ধান্তে কাবিন নামায় রেজিস্টারে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দেনমহর এবং এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা উসিল ধার্য করে বিবাহ সম্পন্ন হয়। এতে উপস্থিত দুই পক্ষের মুরব্বীগণ সাক্ষর করেন।
কিন্তু মো. রেদওয়ান খান বিবাহের পর কাবিন নামা উঠাতে গিয়ে দেখেন তাকে উসিল এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার জায়গায় মাত্র ত্রিশ হাজার টাকা লেখা হয়েছে করা।
তখন, কাজী আবুল কালাম আজাদকে বিবাহের স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে কাবিনের বিষয়টা বুঝানোর পর তিনি নিজ থেকে আরেকটি কাবিননামা দেন। যাতে উসিল উল্লেখ করা হয় এক লাখ টাকা। অথচ প্রকৃত পক্ষে এ দুটি কাবিন নামার একটিও সঠিক নয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মো.রেদওয়ান খান বলেন, কাজী আবুল কালাম আজাদ সাহেব কনে পক্ষের সাথে অর্থের বিনিময়ে কাবিন নামা জালিয়াতি করেছেন। তার কাছে বার বার অনুরোধ করার পরেও তিনি এর সমাধান করেননি এবং সঠিক কাবিন নামাটি বুঝিয়ে দেননি। শুধু তাই নয়, কাজী সাহেব আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়েছে, তিনি বলেছেন আমার বিরুদ্ধে কোথাও কোন অভিযোগ দিয়ে লাভ নেই। এবিষয়ে ব্যবস্থাগ্রহণ এবং এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা উসিলের প্রকৃত কাবিন নামাটি আমাদের দেয়ার জন্য জেলা রেজিস্টার মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
জেলা রেজিস্টার বলেন, হাইমচর আলগী বাজারের কাজী আবুল কালাম আজাদের বিষয়ে আমাদের কাছে একটি কাবিন জালিয়াতির অভিযোগ এসেছে। যেই তাবিনের বিষয়ে অভিযোগ এসেছে, সেই কাবিনের দুইটি কফি আমাদের কাছে রয়েছে। আমরা কাজী সাহেব কে নোটিশ করব, তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টির ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা কাজী সমিতির সভাপতি কাজী মাওলানা ফজলুল কবির পাটোয়ারী বলেন, এই কাজী আবুল কালাম আজাদের ব্যাপারে একাধিক অভিযোগ রয়েছে, আমরা কয়েকবার তাকে সতর্ক করেছি। এখন আমরা জানতে পেরেছি যারা রেজিস্টার বরাবর উনার বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে। আমাদের কাছে অভিযোগ আসলে আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেব।
এ বিষয়ে কাজী আবুল কালাম আজাদ বলেন, যা হয়েছে বিষয়টা আপনারা একটু ম্যানেজ করে দেন, কত মানুষেই তো কত কিছু করে।