মতলব দক্ষিনে মারধরের তিন দিন পর বৃদ্ধার মৃত্যু

সমির ভট্টাচার্য্য : মতলব পৌরসভায় পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলার আহত আঃ রব প্রধানীয়া (৭০) নামে এক বৃদ্ধার তিন দিন পর মৃত্যু হয়েছে । এ ঘটনাটি ঘটেছে পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের দগরপুর গ্রামে ।

সরজমিন ও পারিবারিক সুত্রে জানাযায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারী বিকালে দগরপুর প্রধানীয়া বাড়ীর এজমালী পুকুরের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে মৃত করিম প্রধানীয়ার ছেলে আঃ রব প্রধানীয়া (৭০) এর সাথে পাশের বাড়ীর আঃ রহমান প্রধান ভূটুর সাথে কথা কাটাকাটি হয় ।

এরই ধারাবাহিকতায় সংঘবদ্ধভাবে আঃ রহমান ভূটু তার ছেলে ফয়সাল, শাকিল ও ভাগিনা রনিসহ ২৫-৩০ জন আঃ রব প্রধানের বাড়ীতে হামলা চালায় এবং তাদেরকে মারধর করে । এ সময় আঃ রব তার ছেলে হেদায়েত উল্লাহ, ছেলে কাউসারের স্ত্রী মিতু,এবং মাসুমের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার আহত হয় ।

আহতদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে গুরতর আহত বৃদ্ধ আঃ রবকে প্রধমে মতলব দক্ষিন উপজেলা স্ব্যাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন । গত ২৬ ফেব্রুয়ারী আঃ রব প্রধানীয়ার অবস্থা অবন্নতি হলে ঢাকা রেফার করেন । এম্বুলেন্স যোগে ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পরেন ।

খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে চাঁদপুর মর্গে প্রেরন করে । এ ঘটনায় আঃ রব প্রধানীয়ার ছেলে কাউসার বাদী হয়ে মতলব দক্ষিন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ।

এলাকার একাধিক ব্যাক্তিরা জানান ভূটু ও তার ছেলেরা সব সময় রব মিয়ার পরিবারের উপর অত্যাচার চালাতো। তাদের ভয়ে বাড়ীর কেউ মূখ খুলতো না। আমরা এ হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি ।

এ বিষয়ে কাউসারের স্ত্রী মিতু জানান ভূটুর ছেলে ফয়সাল দলবল নিয়ে বসত ঘরে প্রবেশ করে আমাদেরকে মারধর করে এ সময় আমার শশুর গুরতর আহত হয় । পরে তিনি মারা যায় আমরা খুনিদের বিচার চাই । এদিকে ঘটনার পর থেকে আঃ রহমান ভূটু সপরিবারে পলাতক রয়েছে ।

এ বিষয়ে মতলব দক্ষিন থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুল ইসলাম বলেন খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পোস্টমডেন্টের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে ।

সম্পর্কিত খবর