স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরের সৌদি প্রবাসী আরিফুল ইসলামের দেশে পাঠানো মালামাল ও নগদ অর্থ আত্মসাৎ করে আত্মগোপনে আছে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার মো. কালাম মুন্সি।
এ নিয়ে সৌদি প্রবাসী সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।
জানা যায়, চাঁদপুর লেডি দেহলবী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মরহুম মো. বশির উল্যাহ মাষ্টারের মেঝ ছেলে সাংবাদিক মো. আরিফুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবৎ সৌদি প্রবাসে অবস্থান করছেন। দীর্ঘদিন সৌদি প্রবাসে থাকার কারনে দেশের অনেকের সাথে সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সম্পর্কে ফিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সূর্যমনি গ্রামের মো. কালাম মুন্সীর সাথেও সু-সম্পর্ক হয়। মো. কালাম মুন্সীর সৌদি আরব দাম্মাম আল হাসায় আল শোভা নামক জাগায় থাকতেন।
গত ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সূর্যমনি গ্রামের মো. কালাম মুন্সী সৌদি থেকে একে বারে দেশে চলে আসেন। কালাম মুন্সী দেশে আসার সময় সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম থেকে সৌদি রিয়াল ৩৯০০ এসআর ও কসমেটিকস ও বিভিন্ন ঔষধ নিয়ে আসেন তার বাসায় পৌছে দিবেন বলে। কিন্তু মো. কালাম মুন্সী দেশে আসার পর প্রথম সাপ্তাহ খানেক সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ থাকলেও পরর্বতীতে মো. কালাম মুন্সী সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম এর কাছ থেকে আনা মালামাল ও নগদ অর্থ তার বাসায় পৌছে না দিয়ে আত্মসাৎ করে আত্মগোপনে রয়েছে।
এ নিয়ে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সূর্যমনি গ্রামের মো. কালাম মুন্সীর সাথে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে কালাম মুন্সী সৌদি থেকে আনা মালামাল ফেরত দেওয়ার কথা স্বীকার করলে পরর্বতীতে তা আর ফেরত দেয়নি কালাম মুন্সী।
প্রবাসী সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম জানান, আমি বিশ্বাস করে এতো গুলো টাকা, কসমেটিকস ও বিভিন্ন ঔষধ কার্টুন করে তার হাতে তুলে দিয়েছি। কিন্তু সে আমার সাথে প্রতারনা করে বিশ্বাস ভঙ্গ করছে। কালাম মুন্সী পরে আর আমার দেওয়া ফোন ধরেন না এবং আমার সকল নাম্বার, ইমু ও হোয়াটস্যাপ থেকে ব্লক করে দিয়েছে।
এ ছাড়াও সে সৌদির আল শোভার থাকা আমার বিভিন্ন বন্ধু মহলের কাছে বলে বেড়াচ্ছে মঠবাড়ীয়া এমন কোন কুতুব নেই, যে আমি কালাম মুন্সি হতে আরিফ এর জিনিস পত্র ও টাকা নিয়ে নিবেন। তার বিষয়ে আমি ও আমার পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
প্রবাসী সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম আরো জানান, এ বিষয়টি নিয়ে আমি মঠবাড়িয়া উপজেলার চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহমেদকে বিষয়টি জানিয়েছেন, তিনি আস্বস্ত করছেন, এ বিষয়টি তিনি দেখবেন।
জানা যায়, কালাম মুন্সী অন্য দেশে খুব সহসাই চলে যাবে। তাই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মঠবাড়ীয়া থানা কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় এর সুদৃষ্টি কামনা করছেন প্রবাসী সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের।